শেষ ওভারে জয়ের জন্য সিলেট সিক্সার্সের প্রয়োজন ১০ রান। ঐ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা ও পঞ্চম বলে চার হাঁকিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টুয়েন্টির পঞ্চম আসরে সিলেটকে টানা দ্বিতীয় জয় এনে দিলেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। ঢাকাকে হরানো পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৪ উইকেটে হারালো নাসিরের সিলেট।
রোববার দুপুরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে কুমিল্লা। শুরুটা ভালোই ছিল তাদের। ২৮ বল মোকাবেলা করে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৬ রান যোগ করেন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। প্রথম ম্যাচের মত এ ম্যাচেও দলকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন সিলেটের অধিনায়ক নাসির হোসেন। ১২ রান করে নাসিরের শিকার হন ইমরুল।
পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে পথ ধরেন লিটন। ২১ রান করে সিলেটের স্পিনার তাইজুল ইসলামের শিকার হন তিনি। এরপর চার নম্বরে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন ইংল্যান্ডের জশ বাটলার। মাত্র ২ রান করেন তিনি।
৪৪ রানে তৃতীয় উইকেট হারানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস ও অলক কাপালির জুটির কল্যাণে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে কুমিল্লা। তাতে সফলই হয়েছে তারা। ৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। কাপালি ১৯ বলে ২৬ রান করে ফিরেন।
তবে শেষ পর্যন্ত স্যামুয়েলস ৪৭ বলে ৬০ ও শেষদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডোয়াইন ব্রাভোর ৯ বলে অপরাজিত ১১ রান কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে ১৪৫ রানের সংগ্রহ এনে দেয়। স্যামুয়েলসের ইনিংসে ২টি চার ও ৩টি ছক্কা ছিল। সিলেটের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিসমার স্যান্টোকি ও তাইজুল ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১৪৬ রানের টার্গেটে এবারও উড়ন্ত সূচনা এনে দেন সিলেটের দুই ওপেনার শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচারের। গতকাল ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৫ রান যোগ করেছিলেন তারা। এবার যোগ করেন ৭৩ রান। এজন্য বল মোকাবেলা করেছেন ৫২টি।
ফ্লেচারকে ৩৬ রানে থামিয়ে কুমিল্লাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন তাদের ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন ব্রাভো। তবে এ ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন থারাঙ্গা। ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ী অপরাজিত ৬৯ রান করা থারাঙ্গা শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ৫১ রানে। তার ৪০ বলের ইনিংসে ৫টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
দুই ওপেনার বড় ইনিংস খেললেও, মিডল অর্ডারে দলের জন্য ভালো কিছু করতে পারেননি সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক নাসির। সাব্বির ৩ রান করলেও, ২০ বলে ১৮ রান করে ফিরেন নাসির। তাই শেষ ২ ওভারে জিততে ১৬ রান প্রয়োজন পড়ে সিলেটের। ১৯তম ওভার থেকে ৬ রান আসলে শেষ ওভারে ১০ রান দরকার পড়ে স্বাগতিকদের।
ব্রাভোর করা প্রথম ডেলিভারিতেই উইকেট হারায় সিলেট। ৭ রান করে ফিরেন শুভাগত হোম। শুভাগত’র বিদায়ে উইকেটে গিয়েই ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন নুরুল হাসান। এরপর পরের দু’ডেলিভারিতে ১ রান করে পায় সিলেট। আর পঞ্চম ডেলিভারিতে দুর্দান্ত এক শটে বাউন্ডারি হাকিয়ে সিলেটকে অসাধারণ এক জয়ের স্বাদ দেন নুরুল। ৩ বল মোকাবেলা করে ১টি করে চার ও ছক্কায় অপরাজিত ১১ রান করেন নুরুল। কুমিল্লার ব্রাভো ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৪৫/৬, ২০ ওভার (স্যামুয়েলস ৬০, কাপালি ২৬, লিটন ২১, তাইজুল ২/২২)।
সিলেট সিক্সার্স : ১৪৮/৬ , ১৯.৫ ওভার (থারাঙ্গা ৫১, ফ্লেচার ৩৬, নাসির ১৮, ব্রাভো ২/৩৫)।
ফল : সিলেট ৪ উইকেটে জয়ী।