বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসর মাঠে গড়াচ্ছে ৪ নভেস্বর শনিবার। এর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে চারটি আসর। ওই সকল আসরে হয়েছে অনেক রেকর্ড। সেসব রেকর্ডগুলো তুলে ধরা হলো।
চ্যাম্পিয়ন :
২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স। তৃতীয় আসরে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং গত বছর শিরোপা জয় করে ঢাকা ডায়নামাইটস।
সর্বোচ্চ দলীয় রান
সর্বোচ্চ দলীয় রান ২১৭। ২০১৩ সালে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ উইকেটে এই রান করেছিল ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স।
সর্বনিম্ন দলীয় রান
গত আসরে খুলনা টাইটান্সকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল রংপুর রাইডার্স। এটিই এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন রান।
রানের হিসাবে বড় জয়
২০১৩ সালের আসরে চট্টগ্রাম ভাইকিংস ১১৯ রানে হারিয়েছিল সিলেট রয়্যালসকে। এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি রানে জয়।
উইকেটের হিসেবে বড় জয়
বিপিএলে দশ উইকেটে জয়ের রেকর্ড রয়েছে দু’টি। বরিশাল হারিয়েছিল সিলেট রয়্যালসকে এবং চট্টগ্রাস ভাইকিংস হারিয়েছিল সুপার স্টার্সকে।
সর্বাধিক রান
বিপিএলের চার আসর মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন মুশফিকুর রহিম। ৪৬ ম্যাচের ৪৩ ইনিংসে ১১৭২ রান করেছেন তিনি।
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস
বিপিএলের চতুর্থ আসরে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের হয়ে ১২২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাব্বির রহমান।
সবচেয়ে বেশি ছক্কা
ওয়েস্ট ইন্ডিজ মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এখন পর্যন্ত ৬০টি ছক্কা হাঁকান।
সেঞ্চুরি
বিপিএলে চার আসর মিলিয়ে সেঞ্চুরি হয়েছে ৯টি। এর মধ্যে ক্রিস গেইল সর্বোচ্চ ৩টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। এছাড়া একটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিস, সাব্বির রহমান, ডোয়াইন স্মিথ, আহমেদ শেহজাদ ও এভিন লুইসের।
উইকেট
৪৮ ম্যাচে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ ৬১টি উইকেট নিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিপিএলের তৃতীয় আসরে বরিশাল বুলসের ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় কেভন কুপার ২২ উইকেট নিয়েছিলেন। এটিই এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি উইকেট।
সেরা বোলিং
৬ রানে ৫ উইকেট নিয়ে বিপিএলের সেরা বোলিং ফিগার দুরন্ত রাজশাহীর পাকিস্তানের মোহাম্মদ সামির। বিপিএলের প্রথম আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৬ রানে ৫ উইকেট নেন।
উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল
৪৬ ম্যাচে ৪২ ডিসমিসাল নিয়ে উইকেটরক্ষক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল মুশফিকুর রহিমের। এছাড়া বিপিএলের চতুর্থ আসরে ১৩ ম্যাচে ১৮ ডিসমিসাল করেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের শ্রীলঙ্কার খেলোয়াড় কুমার সাঙ্গাকারা।
সর্বোচ্চ ক্যাচ
৫১ ম্যাচে ২৭ ক্যাচ নিয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। এছাড়া এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ক্যাচ নিয়েছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ড্যারেন স্টিভেনস। বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ১২ ম্যাচে ১১ ক্যাচ নেন স্টিভেনস।
সর্বোচ্চ জুটি
খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলসের নিউজিল্যান্ডের লু ভিনসেন্ট ও শাহরিয়ার নাফীস ১৯৭ রান করেন।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন
৫১টি করে ম্যাচ খেলেছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাব্বির রহমান। এছাড়া অধিনায়ক হিসেবে ৪৫টি করে ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।