বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরে বৃষ্টি বিঘ্নিত ৩৫তম ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। এ জয়ে ১০ খেলায় ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠলো কুমিল্লা। অন্যদিকে সমানসংখ্যক ম্যাচে খেলে চিটাগং ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে নেমে গেছে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারেনি চিটাগং ভাইকিংসের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার হিসেবে খেলতে নামা আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদ বাদে উপরের সারির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানই দ্রুতই উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুলেন।
এক প্রান্ত আগলে রান তোলার চেষ্টা করেছেন শাহজাদ। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৩৩ রান করেন শাহজাদ। দলীয় ৭০ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন শাহজাদ।
এরপর দলের স্কোরকে শতরানের কোটা পার করান মোসাদ্দেক হোসেন। মারমুখী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে দলকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন মোসাদ্দেক। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন মোসাদ্দেক। ফলে নির্ধারিত ১৯ ওভারে ৮ উইকেটে ১১৬ রান করে চিটাগং ভাইকিংস।
বৃষ্টি কারণে ১৯ ওভারে ম্যাচটি নির্ধারণ করা হয়। কুমিল্লার পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এ ছাড়া মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও পাকিস্তানের ওয়াহাব রিয়াজ ২টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ১১৭ রানের টার্গেটে ভালো শুরুর পথেই ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে দলীয় ২৬ রানে ওপেনার এনামুল হককে হারায় কুমিল্লা। ১৩ বলে ৮ রান করেন তিনি। তবে ব্যাট হাতে অবিচল ছিলেন তামিম। শামসুর রহমানের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের মসৃন করেন তামিম। তবে তিনি খেলেছেন ধীরলয়ে। কিন্তু অপরপ্রান্তে মারমুখি মারমুখী ছিলেন শামসুর। শেষ পর্যন্ত ২২ বলে ৩৬ রান করে থামেন শামসুর। তার ইনিংসে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা ছিল।
এরপর উইকেটে গিয়ে ৮ রানের বেশি করতে পারেননি অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। তারপরও জয় পেতে বেগ পেতে হয়নি কুমিল্লার। শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরাকে নিয়ে দলকে জয়ের স্বাদ দেন তামিম। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ বলে অপরাজিত ৫৪ রান করেন তামিম। ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন পেরেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চিটাগং ভাইকিংস : ১১৬/৮, ১৯ ওভার (মোসাদ্দেক ৪৩*, শাহজাদ ৩৩, সাইফ উদ্দিন ২/২৩)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১১৬/৮, ১৯ ওভার (তামিম *, শামসুর ৩৬, আবু জায়েদ ২/২৫)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : শহীদ আফ্রিদি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স)।