খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোন হিসেবই মিলাতে পারছেন না। গত দুই আসরেই তার নেতৃত্বে সেরা চারে পৌঁছে গেছিলো দল। কিন্তু এবারের আসরে সব এলোমেলা। হতাশ ও বিধ্বস্ত মাহমুদউল্লাহ সব হারের ব্যার্থতা নিজের কাঁধেই নিয়েছেন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ আসরের ৩১তম ও চিটাগং পর্বের তৃতীয় ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিলেট সিক্সার্সের কাছে ৫৮ রানে হারে মাহমুদউল্লাহর খুলনা। এই হারের ফলে বিপিএলের এবারের আসর থেকে ছিটকে গেল খুলনা।
এমন ব্যার্থতায় কাঠগড়ায় নিজেকে রেখে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘খুলনার ফ্র্যাঞ্চাইজি বিশ্বাস নিয়ে আমাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছে। গত দুটো বছর ভালোই পারফর্ম করেছি। এ বছরে কোন ভাবেই আমি ভূমিকা রাখতে পারছি না। যেভাবে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছি, সেভাবে করতে পারিনি। আমারো কিছু ভুল আছে। সবমিলে তা পুরো দলে প্রভাব ফেলেছে।’
বিপিএলের চলতি আসর শুরু হওয়ার আগে রানের তালিকাতে শীর্ষে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এবারে গত দুই আসরের মতো রান ছিলো না তার ব্যাটে। ১০ ম্যাচে এসেছে ১৯৪ রান। সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমি বেশ কিছু ম্যাচে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসগুলো বড় করতে পারিনি। ইনিংস বড় করতে পারলে দলের জন্য ভালো হতো। এটা এক দিক থেকে আমার ব্যর্থতা। এখান থেকে শেখার অনেক কিছু আছে। ক্রিকেটে শেখার শেষ নেই।’
১০ ম্যাচে মাত্র দুটিতে জয় খুলনা টাইটানসের। এরপরই দল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসলেই কি দলটি ভারসাম্যপূর্ণ ছিল? মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘দলটা যথেষ্ট ভালোভাবে গড়া হয়েছিল। স্থানীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অভিজ্ঞদের নেওয়া হয়েছে। জুনায়েদ অনেক দিন ধরে ক্রিকেট খেলছে। শান্ত সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার। আরিফুল শেষ দুই বছর দুর্দান্ত খেলেছে। জহুরুল অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। বোলিং সাইডেও আমাদের বৈচিত্র্য ছিল, অলরাউন্ডার ছিল। আসলে কোনও দিক থেকেই উপকৃত হতে পারেনি।’
হারতে থাকা যে কোন দলের জন্যই শেষ দিকে লক্ষ্য রাখা কঠিন। শেষ দুই ম্যাচের আগে খুলনা কী ভাবছে? এমন প্রশ্নে খুলনা অধিনায়ক ভালো কিছু দিয়ে শেষ করার কথাই বললেন, ‘আমাদের হাতে এখন দুটি ম্যাচ আছে। ইনশাল্লাহ যদি জিততে পারি, তাহলে হয়তো ভালো কিছু দিয়ে শেষ করতে পারবো।’