বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট ষষ্ঠ আসরে সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না। উপস্থাপনা, সম্প্রচার মাধ্যমসহ নানা ভুলের কারণে বিপিএলের আয়োজক কমিটি যখন সমালোচনায় হুবুডুবু খাচ্ছিলো ঠিক তখনই যোগ হল 'বিদ্যুৎ বিভ্রাট'।
বিপিএলে ষষ্ঠ আসরের ২৯তম ও চট্টগাম পর্বের প্রথম ম্যাচে আজ (শুক্রবার) এ ঘটনাটি ঘটে। সিলেট-রাজশাহীর ম্যাচে রাজশাহীর ইনিংসের সময় চিটাগংয়ের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে প্রায় ৪৩ মিনিটের মতো বিদ্যুৎ ছিলো না। বিকেল ৪টা ২৩ মিনিটের দিকে চলে যায় বিদ্যুৎ। তা আসে ৫টা ৬ মিনিটে। ফলে ৪৩ মিনিট স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ থাকে স্টেডিয়ামের। জায়ান্ট স্ক্রিন বন্ধ থাকায় ম্যাচের স্কোর কার্ড জানতে পারেননি দর্শকরা। এমনকি পারেননি প্রেসবক্সে থাকা সাংবাদিকরাও। কারণ বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ ছিল টিভিও। ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য চালু রাখা সম্ভব হয়নি রাউটারও।
এছাড়া নিয়মমাফিক ৫টার দিকে ফ্লাডলাইটের আলো জ্বলে ওঠে মাঠগুলোতে। বিদ্যুৎ না থাকায় এদিন সোয়া ৫টার মধ্যেও স্টেডিয়ামের পুরো ফ্লাডলাইট জ্বালানো সম্ভব হয়নি।
হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ডস ম্যানেজার আব্দুল বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘যান্ত্রিক গোলযোগের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহতে সমস্যা ছিল। তবে জেনারেটরের ব্যবস্থায় ভিআইপি, দুই দলের ড্রেসিংরুম, গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড, মিডিয়া সেন্টার, প্রেস-বক্সসহ জরুরী দরকারের জায়গাগুলো সচল রেখেছি।'
প্রসঙ্গত, চিটাগংয়ের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ২০১৬ সালের ১২ অক্টোবর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ম্যাচে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা হওয়ায় ম্যাচ বন্ধ ছিল প্রায় ৮ মিনিট। একই বছর যুব বিশ্বকাপেও একই ঘটনা ঘটে। আফগানিস্তান ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার প্রস্তুতি ম্যাচ চলাকালীন সময়ে দুইবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। দ্বিতীয় দফায় প্রায় বিশ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।
একই ঘটনা ঘটেছিল ২০১১ বিশ্বকাপেও। সেবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। ওইদিন বিকাল ৪টা ৪৩ মিনিটে প্রথম দফা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটার পর প্রায় বিশ মিনিট পর বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ৫টা ১৬ মিনিটে আবারও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটে।