বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ২১তম ম্যাচে সিলেট সিক্সার্সকে ৪ উইকেটে হারালো রংপুর রাইডার্স। ৭ খেলায় ৩ জয় ও ৪ হারে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহে আছে রংপুরের। অপরদিকে, ৭ ম্যাচে ২ জয় ও ৫ হারে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখেছে সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে সিলেট। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। লিটন দাস ১১ রানে বিদায় নিলে দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা।
মিডল-অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন ও অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। দুজনেই ১৯ রান করে ফিরেন । তবে ব্যাট হাতে এক প্রান্ত আগলে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন ওপেনার হিসেবে নামা সাব্বির রহমান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন তিনি।
৫১ বল মোকাবেলায় ৫টি চার ও ৬টি ছক্কা হাকান সাব্বির। চতুর্থ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরানকে নিয়ে দলকে ৮২ রান এনে দেন সাব্বির। ২৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৪৭ রান করেন পুরান। রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ২টি উইকেট নেন।
১৯৫ রানের বড় টার্গেটে যাচ্ছেতাই শুরু হয় রংপুর রাইডার্সের। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল শূন্য রানে ফিরে যান। শুরুর ধাক্কাটা ভালোভাবে সামাল দেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তারা। হেলস ৩৩ রানে ফিরলেও ৬১ রানের ইনিংস খেলেন রুশো। ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ বলে নিজের ইনিংসটি সাজান এ দক্ষিণ আফ্রিকান।
দলীয় ১৩০ রানে রুশো ফিরে যাবার পর রংপুরের জয়ের কাজটা সম্পন্ন করার দায়িত্ব ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের। দুর্দান্ত শুরুর পরও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ২টি করে চার ও ছক্কায় ২১ বলে ৩৪ রান করেন ডি ভিলিয়ার্স।
মাঝে রংপুরের মিডল-অর্ডারের চার উইকেট তুলে সিলেটকে দারুনভাবে খেলায় ফেরান পেসার তাসকিন আহমেদ। এমন অবস্থায় শেষ ২ ওভারে ২৪ রান প্রয়োজন পড়ে রংপুরের।
১৯তম ওভারে মাশরাফি ও ফরহাদ রেজা ১৯ রান তুলে ম্যাচ হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন। তাই শেষ ওভারে ৫ রান দরকার পড়ে রংপুর। শেষ ওভারে তৃতীয় বলেই জয় নিশ্চিত করেন মাশরাফি-ফরহাদ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন ফরহাদ। মাশরাফি ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সিলেটের তাসকিন ৪২ রানে ৪ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
সিলেট সিক্সার্স : ১৯৪/৪, ২০ ওভার (সাব্বির ৮৫, পুরান ৪৭*, মাশরাফি ২/৩১)।
রংপুর রাইডার্স : ১৯৫/৬, ১৯.৩ ওভার (রৌসু ৬১, ডি ভিলিয়ার্স ৩৪, তাসকিন ৪/৩১)।
ফল : রংপুর রাইডার্স ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : রিলি রুশো(রংপুর রাইডার্স)।