জুনায়েদ সিদ্দিকের ৭০ রানের ইনিংসের ওপর ভর করেই খুলনা টাইটানসের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮১ রান। স্কোরটা নিশ্চিতভাবেই ২০০ ছাড়িয়ে যেতে পারতো। হয়নি শেষ ২ ওভারে আরিফুল ও শান্ত ঠিকমতো ব্যাট-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি বলে। ১২ বলে মাত্র ১৩ রান এসেছে এই দুই ওভারে। খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মনে করেন শেষ দুই ওভারে প্রত্যাশিত রান না আসাতেই কুমিল্লার কাছে এমন হার!
সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটিংয়ের শেষ দুই ওভারেই খুলনা পিছিয়ে পড়লো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ওই সময় কয়েকটা ডট বলো গেছে। যেভাবে আমরা পিঞ্চ করতে চাচ্ছিলাম সেভাবে পারিনি। কাউকে দোষ দেওয়ার কিছু নেই। যদি কাঙ্ক্ষিত রান পেতাম, তাহলে ১৯০ রান ছাড়াতো। এই জায়গাতে পিছিয়ে গিয়েছি।’
১৮২ রানের জবাবে তামিম-এনামুল মিলে দারুণ শুরু করেছিলেন। কুমিল্লা ১১৫ রানের ওপেনিং জুটিতে ম্যাচটি শুরুতেই খুলনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। যদিও মাঝে দ্রুত কয়েক উইকেট ফেলে দিয়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে মাহমুদউল্লাহর দল।
শুরুতে প্রতিপক্ষের উইকেট তুলে নিতে ব্যর্থ হওয়াতেই পরে খুলনার হার এড়ানো যায়নি বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ, ‘খুবই ক্লোজ ম্যাচ ছিল। মাঝখানে যখন আমরা কটা উইকেট পেলাম, মোমেন্টাম এল। কিন্তু শেষে আবার হেরে গেলাম। বোলারদের দোষারোপ করার কিছু নেই। আমরা শুরুতে কিছু উইকেট নিতে পারলে ফলাফলটা ভিন্ন হতে পারতো। কিন্তু আমরা শুরুটা ভালো করতে পারিনি।’
গত দুই আসরে সাদামাটা দল নিয়েও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলেছে খুলনা টাইটানস। এবার খারাপ সময়টা দূর করতে পারছে না গতবার সেরা চারে খেলা দলটি। মাহমুদউল্লাহ মনে করেনে চিটাগং ভাইকিংস, কুমিল্লা ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ক্লোজ দুটি ম্যাচ হেরেই নিজেদের অবস্থান কঠিন করে ফেলেছে তার দল।
‘আপনি খেয়াল করেন দুটো ক্লোজ ম্যাচ আমরা হেরেছি। ওই দুইটা জিততে পারলে টেবিলে উপরে থাকা যেত। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এমন ক্লোজ ম্যাচ জিততে হয়। কিন্তু আমরা পারিনি।’