বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসরের ২০তম ম্যাচে ১৮১ রান সংগ্রহ করা খুলনা টাইটান্সকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স। এ জয়ে ৬ খেলায় ৪ জয় ও ২ হারে ৮ পয়েন্ট অর্জন হলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। অপরদিকে ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ হারে ২ পয়েন্টেই রইলো খুলনা।
শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। শূন্য রানে ফিরে যান ওপেনার জহিরুল ইসলাম। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৩৯ বলে মোকাবেলা করে ৭১ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ও আল-আমিন। আল-আমিন ১৯ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ রানে থামলেও হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন জুনায়েদ।
হাফ-সেঞ্চুরির পরও দলের রানে চাকা ঘুরিয়েছে জুনায়েদ। ফলে ১৫ ওভারেই ১৪৫ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় খুলনা। এ অবস্থায় শেষ ৫ ওভারে রানের পাহাড়ে উঠার স্বপ্ন দেখছিল খুলনা। কিন্তু ১৬তম ওভারের প্রথম বলে রান আউট হয়ে যান জুনায়েদ। ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৪১ বলে ৭০ রান করেন জুনায়েদ।
এরপর অধিনায়ক মাহমুদুুল্লাহ রিয়াদের ৯ বলে ১৬, ইংল্যান্ডের ডেভিড মালানের ২৫ বলে ২৯, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের ৯ বলে ১২ ও আরিফুল হকের ৯ বলে ১৩ রানের সুবাদে ৭ উইকেটে ১৮১ রানের বড় সংগ্রহ পায় খুলনা। কুমিল্লার পাকিস্তানি খেলোয়াড় শহীদ আফ্রিদি ৩৫ রানে ৩ ও ওয়াহাব রিয়াজ ২ উইকেট নেন।
১৮২ রানের বড় টার্গেটে যেমন শুরু প্রয়োজন ছিল, ব্যাট হাতে নেমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে তেমন শুরুই এনে দেন দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক। ৭৩ বলে ১১৫ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন তামিম ও আনামুল। এর মধ্যে ৭৩ রানই ছিল তামিমের। ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪২ বল মোকাবেলা করে নিজের দর্শনীয় ইনিংসটি সাজান তামিম। এবারের বিপিএলে এটিই তামিমের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি।
এরপর এনামুল ৪০ ও চার নম্বরে শামসুর রহমান ১ রান করে ফিরে গেলে চাপ পড়ে যায় কুমিল্লা। তখন ৩৬ বলে ৫৩ রান দরকার ছিল তাদের। হাতে ছিল ৮টি উইকেট।
এ অবস্থায় মারমুখী হয়ে ওঠেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ইংল্যান্ডের ডসনকে নিয়ে ১৫তম ওভারে ১৩ ও ১৬তম ওভারে ১১ রান যোগ করেন কায়েস। তাই শেষ ২৪ বলে ২৯ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার।
তবে ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ডসন ও ইমরুলকে শিকার করে খুলনাকে খেলার ফেরানোর পথ তৈরি করেন পাকিস্তানের পেসার জুনায়েদ খান। এরপর ক্রিজে যোগ দেন শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা ও পাকিস্তানের আফ্রিদি। ১টি করে চার ও ছক্কা মেরে জুনায়েদের তৃতীয় শিকার হন আফ্রিদি।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে এক ওভারে ৮ রান দরকার পড়ে কুমিল্লার। ব্রাথওয়েটের করা শেষ ওভারের তৃতীয় বলে চার ও চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে কুমিল্লাকে দুর্দান্ত এক জয় এনে দেন পেরেরা। ২টি ছক্কা ও ১টি চারে ৭ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন পেরেরা। খুলনার জুনায়েদ ৪টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইটান্স : ১৮১/৭, ২০ ওভার (জুনায়েদ ৭০, আল-আমিন ৩২, আফ্রিদি ৩/৩৫)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স : ১৮৬/৭, ১৯.৪ ওভার (তামিম ৭৩, এনামুল ৪০, জুনায়েদ ৪/৩২)।
ফল : কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : তামিম ইকবাল(কুমিল্লা)।