বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ষষ্ঠ আসরের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। এরপরই টাইগারদের উড়াল দিতে হবে নিউ জিল্যান্ডে। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে মাশরাফিদের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি।
ঘরের মাঠে মন্থর উইকেটে টি-২০ খেলেই সোজা নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডেতে খেলতে হবে বাংলাদেশে। সেখানের গতি, বাউন্সি, মুভমেন্টে ভরা উইকেটে খেলতে হবে মাশরাফিদের। তবে এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা প্রস্তুতি নেয়া সুযোগ পাচ্ছেন না। অর্থাৎ চলমান বিপিএলেই তাদের শেষ প্রস্তুতি। কিন্তু বিপিএলের এ উইকেটে টি-২০ খেলার প্রস্তুতি নিউজিল্যান্ডের উইকেটের আদর্শের কাছাকাছিও নেই বলে বলছেন টাইগার কোচ রোডস।
নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের জন্য একে তো বিরূপ কন্ডিশন, তার মধ্যে প্রস্তুতিতে ঘাটতি। কোচের ভাষ্য, ‘আমরা এমন উইকেটে খেলে যাচ্ছি নিউজিল্যান্ড যেন না জানে (হাসি)। এটা আদর্শ প্রস্তুতির কাছাকাছি কিছুও নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপিএলে টি-২০ খেলে একদম সোজা আমরা নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে খেলতে নামব। কিন্তু এটাও সত্য এ টুর্নামেন্টটা আয়োজনের জন্য আর কোন ফাঁকা সময় ছিল না, এটা দারুণ এক টুর্নামেন্ট। এটা এ সময়ে আয়োজনের বাস্তবতা আমরা বুঝি।’
রোডস বলেন, ‘কাজেই নিউজিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতি একেবারে হুড়োহুড়ির মধ্যে নিতে হবে। তবে টেস্টের ব্যাপারটা আলাদা। টেস্ট যারা খেলবে তারা একটু বাড়তি সময় পাবে।’
নিউজিল্যান্ডে বেশি প্রত্যাশা না করার ইঙ্গিত দিয়ে টাইগার কোচ বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ভালো করা খুব কঠিন হবে। আমরা ভালো কিছুর চেষ্টা করব যাতে ওয়ানডেতে দলটা ঠিক পথে থাকে।’
নিউ জিল্যান্ড সফরে তেমন প্রস্তুতির সময় না পেলেও বিশ্বকাপের পথে আবার ভালো প্রস্তুতির সুযোগ দেখছেন কোচ। বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড সফরটাকে বিশ্বকাপে ভালো করার একটা বড় ধাপ মনে করছেন রোডস।
তিনি বলেন, ‘আয়ারল্যান্ডে আমাদের ভালো প্রস্তুতি হবে। তার আগে মিরপুরে আমাদের ছোট ক্যাম্প করার সুযোগ মিলবে। ওখানকার শীত এবং ভেজা আবহাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আইরিশদের সঙ্গে খেলতে পারব। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে যেতে যেতে সেখানকার উইকেটগুলো শুষ্ক হতে শুরু করবে। আশা করছি তখন জেতার মধ্যে থাকব।’