বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেলো রাজশাহী কিংস। আজ (রোববার) টুর্নামেন্টের এয়োদশ ম্যাচে রাজশাহী ৫ রানে হারিয়েছে রংপুরকে। ৫ খেলায় ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রংপুর। ৪ খেলায় ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রাজশাহী।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে দিনের প্রথম ম্যাচে বোলিং বেছে নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট তুলে নেন মাশরাফি। মুখোমুখি হওয়া নিজের প্রথম বলে আউট হয়ে খালি হাতে ফিরেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। এই উইকেট পতনের পেছনে অবদান রাখেন ফিল্ডার শফিউল ইসলাম। ফাইন লেগে দুর্দান্ত একটি ক্যাচ ধরেন তিনি।
৬ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে রাজশাহী। আরেক ওপেনার মোমিনুল হক ও সৌম্য সরকার দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাদের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান রংপুরের স্পিনার সোহাগ গাজী ও মাশরাফি। ১৪ রান করা মমিনুলকে শিকার করেন গাজী। ১৮ রানে সৌম্যকে ফিরিয়ে দেন মাশরাফি।
৩৬ রানের মধ্যে মোমিনুল-সৌম্য ফিরে গেলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মোহাম্মদ হাফিজ ও জাকির হাসান। চতুর্থ উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন তারা। হাফিজ রান আউটের ফাঁদে পড়ে ২৬ রানে থেমে যান।
তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন জাকির। ৩৫ বলে অপরাজিত ৪২ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি। তার ইনিংসে ২টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। এছাড়া শেষ দিকে নেদারল্যান্ডসের রায়ান টেন ডসেট ১০ বলে ১৪ রান করায় ১৩৫ রানের পুঁজি পায় রাজশাহী। রংপুরের মাশরাফি-ফরহাদ রেজা ২টি করে উইকেট নেন।
১৩৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলকে নিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি। ব্যাট হাতে নেমে সবাইকে অবাক করেছেন ম্যাশ। কিন্তু দর্শকদের আনন্দ দিতে পারেননি রংপুর অধিনায়ক। রাজশাহীর পেসার কামরুল ইসলাম বলে শূন্য রানে ফিরে যান মাশরাফি।
মাশরাফির ফিরে যাওয়ায় ভড়কে যাননি গেইল। কামরুলের পরের ওভারে দু’টি ছক্কা-চার মারেন গেইল। কিন্তু ঐ ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান ১৪ বলে ২৩ রান করা গেইল।
৩১ রানের মধ্যে মাশরাফি-গেইলকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলো রংপুর। দলকে সেখান থেকে চাপমুক্ত করেন উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন ও দক্ষিণ আফ্রিকার রিলি রুশো। ৪০ রানের জুটি গড়েন তারা। ব্যক্তিগত ৩০ রানে থামেন মিথুন। এরপর মিডল-অর্ডারে দ্রুত ২টি উইকেট হারায় রংপুর। এতে ম্যাচের লাগাম পেয়ে যায় রাজশাহী। ইংল্যান্ডের রবি বোপারা ১ ও বেনি হাওয়েল ৪ রানে করে আউট হন।
৯২ রানে ৫ উইকেট পতনের পর দেখেশুনে খেলতে থাকেন রুশো ও নাহিদুল ইসলাম। শেষ ২ ওভারে জয়ের জন্য ১৮ রানের সমীকরন সেট করেন তারা। ১৯তম ওভারে ৮ রান নেন রুশো ও নাহিদুল। তাই শেষ ওভারে ৯ রান দরকার পড়ে। কিন্তু ঐ ওভার থেকে মাত্র ৩ রান নিতেত পারে রংপুর। অর্থাৎ শেষ পর্যৗল্প ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৯ রানে থামে রংপুর। বৃথা যায় রুশো ৪৬ বলে অপরাজিত ৪৪ রানের ইনিংসটি। রাজশাহীর কামরুল ও হাফিজ ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রাজশাহী কিংস : ১৩৫/৮, ২০ ওভার (জাকির অপরাজিত ৪২, হাফিজ ২৬, ফরহাদ ২/১৭)।
রংপুর রাইডার্স : ১৩০/৬, ২০ ওভার (রুশো ৪৪*, মিথুন ৩০, হাফিজ ২/২২)।
ফল : রাজশাহী কিংস ৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: জাকির হাসান (রাজশাহী কিংস)