কলকাতা নাইট রাইডার্স আবিষ্কার করেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার সুনীল নারাইনকে। এই স্পিনার আইপিএলের প্রথমদিকের আসরগুলোতে ব্যাটিংয়ে ছিলেন ল‘অর্ডার ব্যাটসম্যানদের তালিকায়। কিন্তু গত কয়েকটি আসরে নারাইনকে দেখায় গেছে ব্যাটিংয়ে ওপেনিং করতে। বোলিংয়ে যেমন দুর্দান্ত করেছেন তেমনি ওপেনিংয়ে নেমেও দেখিয়েছিলেন ক্যারিশমা।
তাই বোদহয় এবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের ১৩তম ম্যাচে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ক্যারিশমা দেখাতে চেয়েছিলেন রংপুরের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু তিনি ব্যার্থ হলেন।
এদিন রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে টস জিতে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক মাশরাফি। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। রাজশাহী ব্যাটিংয়ে নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। তারা ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তুলে। জাকির হাসান অপরাজিত ৪২ ও মোহাম্মদ হাফিজ ২৬ রান তুলেন।
১৩৬ রানে জয়ের লক্ষে রংপুরের ওপেনিংয়ে নামেন দলটির অধিনায়ক মাশরাফি ও ক্রিস গেইল। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বি এক্সট্রা বাউন্স দিলে ব্যাটিংয়ে থাকা মাশরাফির ব্যাটের কানায় লাগে। ফলে বলটি তালুবন্ধি করেন রাজশাহীর উইকেটকিপার জাকির হাসান। ফলে মাশরাফি ২ বল খেলে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন।
এ ম্যাচে মাশরাফি যেমন ব্যার্থ হয়েছে তেমনি তার দলও ব্যার্থ হয়। দলে ব্যটিং দানব গেইলের ব্যাট তেমন হাসেনি এদিন। ১৪ বলে ২৩ রান করেন তিনি আউট হন। তবে রিলি রৌশ একপাশ আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেওয়া যাওয়া চেষ্টা করেন। রৌশ অপরাজিত ৪৪ রান করেন।
তবে শেষ ওভাবে রংপুরের দরকার ছিল ১০ রান। উইকেটে ছিলেন রৌশ ও ফরহাদ রেজা। রৌশ প্রথম বলে এক রান দৌড়ে স্টাইক দেন রেজা কে। কিন্তু রেজা পর পর ৩ বল মিস করেন। পরে বলে এক রান নিয়ে স্টাইক দেন রৌশকে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় বিজয় নিশ্চিত করে ফেলে রাজশাহী। শেষ বলে দরকার ছিল ৮ রান। রৌশ এক রানের বেশি নিতে পারেন নি। তাই মিরাজের রাজশাহীর কাছে ৫ রানে হেরে যায় মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।