আলিস ইসলাম এতোটাই অপরিচিত মুখ যে, ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা পুরো নাম ও অতীতের ক্যারিয়ার নিয়ে প্রশ্ন শুরু করলো। আলিসও জানালো তিনি মূলত ছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের নেট বোলার।
এই নেট বোলার যে অভিষেকেই এমন তকমা দেখাবে তা কে জানতো। হয়তো এই তকমাই আলিসের জাতীয় দলে খেলার রাস্তাটা প্রশস্ত হলো।
বিপিএলে আলিসের এটি প্রথম ম্যাচ বটেই, এই মাঠে তিনি আগে কখনো খেলেনইনি। জানালেন সেই কথাও। ‘আসলে আমি ঢাকার হয়ে নেট বল করতাম। যখন আমি নেট বল করেছি তখন কোচ ও ম্যানেজম্যান্ট আমার বল দেখে আমার উপর আস্থার রাখে। ফলে তারা আমাকে দলে নেয়। সত্যি কথা বলতে বিপিএল এটি যেমন আমার প্রথম ম্যাচ, ঠিক তেমনি এই মাঠেও প্রথম খেলা।
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে অভিষেক হয় আলিস ইসলামের। মাঠে নেমে ফিল্ডিংয়ে পর পর দুটি সহজ ক্যাচ মিস করেন তিনি। কিন্তু শ্বাসরুদ্ধকর সময়ের ১৮তম ওভারে অধিনায়ক সাকিব স্পিনার আলিসের ওপর আস্থা রেখে বোলিংয়ে আনেন। হাতে ৬ উইকেট রেখে রংপুর তখন ১৮ বলে মাত্র ২৬ রানের দূরত্বে। প্রথম তিন বলে এক করে তিন রান দেন আলিস। কিন্তু ওভারটির শেষ তিন বলে মিঠুন, মাশরাফি ও ফরহাদ রেজাকে আউট করে হ্যাটট্রিক রেকর্ড করেন আলিস।
কিন্তু ম্যাচে কেন তিনি পর পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সহজ ক্যাচ মিস করেছিলেন? জানালেন সেই কথাও। ‘আসলে এটি আমার প্রথম ম্যাচ। তাই আমি খুব নার্ভাস ছিলাম। নার্ভাস থাকার কারণেই পর পর দুটি ক্যাচ মিস করি। তবে ক্যাচ মিস করার পর আমাকে অধিনায়ক, দলের অন্যান্য খেলোয়াড়, কোচ, ম্যানেজম্যান্ট সবাই আমাকে খুব সাহস দেয়। পরে যখন আমি বোলিংয়ে আসি তখন আমি আমার সেরা দেওয়ার চেষ্টা করি। আমি ভালো জায়গার বল করার জন্য চেষ্টা করি’
মাঠে যেমন নার্ভাস ছিলেন জীবনের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এসেও আলিস ছিলেন নার্ভাস। ‘হা এখনো একটু নার্ভাস। তবে হ্যাট্রিক করা যায় না। আসলে হ্যাট্রক হয়ে যায়। শুধু আমি চেষ্টা করেছিলাম ভালো জায়গায় বল করার।’
রংপুরের বিপক্ষে বোল হাতে আলিস ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে তুলে নেন মূল্যবান চার উইকেট। এ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটস শ্বাসরুদ্ধকর ২ রানে জয় পায়।
২৩ বছর বয়সী রীতিমতো হিরো বনে যাওয়া অফ স্পিনার আলিসের বাড়ি সাভারে। তিনি প্রথমে একটি ক্লাব থেকে ঢাকা লিগ খেলতেন। এর পর কয়েক বছর তিনি সেকেন্ড ডিভিশন ও ফাস্ট খেলেন।