এবারের বিপিএল সিলেট সিক্সার্স-কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের খেলার পর আলোচনা চলে এসেছে ‘আল্ট্রাএজ’ নিয়ে। ডিআরএস আছে অথচ ‘আল্ট্রাএজ’ বা ‘স্নিকোমিটার’ কেন নেই, এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে স্বস্তির জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। লক্ষ্য ছোট হলেও তাড়া করতে গিয়ে ঘাম ছুটে গিয়েছিল তাদের। আর এ অন্যতম কারণ ছিল দলের সেরা ব্যাটসম্যান স্টিভ স্মিথের আউট। আল-আমিন হোসেনের একটি বলে খোঁচা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন স্মিথ। তবে শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নেওয়ায় তৃতীয় আম্পায়ার আউট দেন। কিন্তু রিপ্লেতে খুব ভালোভাবে তা বোঝা যায়নি।
আর তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। এ নিয়ে কোন ক্ষোভ প্রকাশ করেননি কুমিল্লার কোচ। এ পদ্ধতি যে থাকছে না তা আগেই জানতেন সালাহউদ্দিন, ‘এটা নিয়ে আমাদের কথা হয়েছিল (টুর্নামেন্টের আগে)। কিন্তু এখানে আসলে স্নিকো ও আলট্রা এজ আনতে অনেক টাকা লাগে। এটা হয়তো যারা করছে তারা দেয়নি। এটা আমাদের সাথে আগেই কথা হয়েছে। এই কারণে আমাদের কিছু বলার নেই। শুধু হক-আই থাকবে, অন্য কিছু থাকবে না, এটা আমাদের সাথে আগেই কথা হয়েছে।’
ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগে জানানোয় হয়তো ক্ষোভ বাড়ছে না দলগুলোর। কিন্তু তাতে বিতর্ক বেড়েছে। বিশেষ করে সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে রাজ্যের আলোচনা-সমালোচনা। সব প্রযুক্তি না থাকায় খুব একটা যে লাভবান হবেন তা সে কথা আয়োজকদের জানিয়েছিলেনও সালাহউদ্দিন, ‘আমরা বলেছিলাম, এটা থাকাতে খুব একটা যে লাভ হচ্ছে তা কিন্তু না। শুধু লেগ বিফরের ক্ষেত্রে হয়তো ঠিক সিদ্ধান্তটা আসছে, আর বাকি গুলোয় সন্দেহ থাকতেই হচ্ছে।’
এদিকে দেশের আয় যেমন বেড়েছে, বেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আয়ও। তাই বিপিএলের মান অনুযায়ী খুব শীগগিরই সব প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করা উচিত বলে মনে করেন সালাহউদ্দিন, ‘আমার মনে হয় এখন যেই সময় এসেছে আমাদের, এগুলো আমাদের অবশ্যই থাকা উচিত। আমরা তো মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেছি, এখন তো আসলে এগুলো থাকাই উচিত।’
এ বিষয়ে বিপিএল টেকনিক্যাল কমিটি ও বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসের বলেন, ‘আমরা ওদের (সম্প্রচার কর্তৃপক্ষ) বলেছি। ওরা বলেছে স্লো মোশন ব্যবহার করে দেখছে। সেটি দিয়ে যদি কাভার না করে তবে তারা আল্ট্রা এজের ব্যবস্থা করবে।’