বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ আসরের দ্বিতীয় দিনের ৩ নম্বর ম্যাচে স্টিভ স্মিথের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে হারে ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্স। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানালেন মজার এক তথ্য।
প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে স্মিথ পেয়েছেন নেতৃত্ব। দলে তামিম ইকবাল থাকলেও নেতৃত্বে কখনও খুব আগ্রহী নন অভিজ্ঞ বাঁহাতি ওপেনার। কুমিল্লা তাই ভরসা রেখেছে স্মিথের ওপর। বল টেম্পারিং বিতর্কে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়েছেন, কিন্ত তার আগে নেতৃত্বে যথেষ্টই সফল ছিলেন এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান।
বিপিএল শুরুর মাত্র দুই দিন আগে দলে যোগ দিলেও স্মিথকে মাঠে দেখা গেছে বেশ প্রাণবন্ত। পুরোপুরি কর্তৃত্ব পেতে, সতীর্থদের বুঝে উঠতে সময় লাগবে কিছুটা। কিন্তু নিজের ছাপ রাখতে শুরু করেছেন প্রথম ম্যাচ থেকেই। রোববার সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে কুমিল্লার জয়ে তার বোলিং পরিবর্তন, মাঠ সাজানো ছিল দারুণ।
ফিল্ডিংয়ের সময় মাঠের একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে ছুটছিলেন তামিম ইকবাল। ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্যই এই কাজটি করেছিলেন বলে মনে করেন দলটির কোচ।
সংবাদ সম্মেলনে এসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কোচ সালাউদ্দিন বলেন “তামিমের খুব কষ্ট হয়েছে আজকে। ও আমাকে বলেছে, ‘স্যার, স্মিথ আমাকে এতো দৌড়াচ্ছে!’ সবাইকে ও (স্মিথ) খুব সম্পৃক্ত রেখেছে। এটা খুব ইতিবাচক। ছেলেদের কষ্ট হবে, বুঝতে পারছি এখনই। যারা ভালো ফিল্ডার, বাইরে তাদের অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে।”
প্রথম ম্যাচে স্মিথের নেতৃত্ব দারুণ লেগেছে কোচের। তিনি বলেন, “ও প্রত্যেকটা খেলোয়াড়কে অনেক বেশি সম্পৃক্ত করে রেখেছে। এটা খুব ভালো দিক। সে অনেক বেশি অভিজ্ঞ। বিদেশি আরও অনেকের মতো ওর হয়তো এখানে খেলার অভিজ্ঞতা এতটা নেই। তবে এই টুর্নামেন্টে ভালো খেলার জন্য ও নিজেও বেশ উদগ্রীব।”
“ওর সাথে খেলোয়াড়দের যোগাযোগ কেমন হচ্ছে, সেটা এখনই বলা কঠিন। আমাকে হয়তো মানিয়ে নিতে হবে। স্মিথকেও মানিয়ে নিতে হবে। দেশি এবং বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে সমন্বয় করা কঠিন। তবে একটু কঠিন হলেও দলের স্বার্থে আমাদেরকে মানিয়ে নিতে হবে।”
এদিন, স্মিথের কুমিল্লাকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দেয় ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্স। ১ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।