বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দুর্দান্ত একটি ফাইনাল ম্যাচ দেখলো ক্রিকেট ভক্তরা। ফাইনালে রেকর্ড রান তাড়া করে বিপিএলের শিরোপা জয় ধরে রাখলো তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন ফরচুন বরিশাল। চিটাগং কিংসের বিপক্ষে ৩ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে বরিশাল।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের সামনে লক্ষ্য ছিল ৮ রান। বোলার তালাতের ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মারেন রিশাদ হোসেন। পরের বলে সিঙ্গেল নিলে স্কোর লেভেল হয়। পরের বলে এবাদত হোসেন ডট খেললেও চতুর্থ বলে হোয়াইট দিলে জয়ের উল্লাসে মাতে বরিশাল।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ গড়ে চিটাগং। জবাবে তামিম ইকবালের ফিফটির পর কাইল মায়ার্সের ব্যাটে দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় বরিশাল।
জয়ের জন্য ১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বরিশালও উড়ন্ত শুরু করে। তামিম ইবকাল এবং তাওহিদ হৃদয়ের উদ্বোধনী জুটি থেকে ৭৬ রান পায় বরিশাল। ইনিংসের নবম ওভারে প্রথম বলে তামিম ইকবাল ফিরলে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল।
২৯ বলে ৫৪ রান করা তামিম ইকবালের ইনিংসের ৯টি চারের সাথে একটি ছক্কার মার ছিল। তামিম চলে যাওয়ার ওভারেই আরও একটি উইকেট তুলে নেয় বরিশাল। ওভারের চতুর্থ বলে ডেভিড মালানকে (১) এলবিডব্লিউ করে সাজঘরে ফেরান শরিফুল ইসলাম।
দলীয় সংগ্রহ শতরানের গন্ডি পার হওয়ার আগে আরও একটি উইকেট হারায় বরিশাল। দলীয় ৯৬ রানে ফিরেন তাওহিদ হৃদয় (৩২)। দলীয় ১৩০তম রানে ফিরেন মুশফিকুর রহিম (১৬)। এরপর দলের হাল ধরেন কাইল মায়ার্স এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে ইনিংসের ১৮তম ওভারে দুজনকেই ফেরান খালেদ আহমেদ। ওভারের তৃতীয় বলে মায়ার্স (৪৬) এবং পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে (৭) ফেরান তিনি।
১৯তম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নবীতে তুলে নিয়ে দলীয় ১৮৭ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বরিশাল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮ রান।
এর আগে পারভেজ হোসেন ইমনের অপরাজিত ৭৮ এবং খাজা নাফির ৬৬ রানের ইনিংসে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের সংগ্রহ গড়ে চিটাগং কিংস।