বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলমান ১১তম আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে উড়িয়ে দিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল ফরচুন বরিশাল। আসরের ৩৩তম ম্যাচে সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে বরিশাল।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার শেষ পর্বের প্রথম দিনের শুরুর ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ফাহিম আশরাফের বোলিং তোপে ১৮.১ ওভার ১১৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট স্ট্রাইকার্স। বল হাতে ফাহিম আশরাফ ৩.১ ওভার মাত্র ৭ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন ফাহিম।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের অপরাজিত ফিফটি (৫২) এবং মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংসে ২৪ বল বাকি রেখেই ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় ফরচুন বরিশাল। এ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বরিশাল দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করলেও ১০ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল সিলেটের। ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স।
ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালের পেসার ফাহিম আশরাফের তোপে ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারায় সিলেট। জর্জ মুনসি ৪, রনি তালুকদার ৯, জাকির হাসান ৪, কাদেম এলিনি শূন্য ও নাহিদুল ইসলাম ৮ রানে আউট হন। এরমধ্যে ৩ উইকেট নেন ফাহিম।
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেন জাকের আলি ও আহসান ভাট্টি। ষষ্ঠ উইকেটে ২৬ বলে ৩২ রানের জুটি গড়েন তারা। ভাট্টিকে ব্যক্তিগত ২৮ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন বরিশালের স্পিনার মোহাম্মদ নবি।
ভাট্টির ফেরার পর দলীয় ৮৭ রানে জাকেরকে সাজঘওে পাঠান জেমস ফুলার। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ বলে ২৪ রান করেন জাকের।
এরপর অষ্টম উইকেটে অধিনায়ক আরিফুল হক ও তানজিম হাসান সাকিবের ১১ বলে ১৬ রানের জুটিতে ১শর কোটা পার করতে পারে সিলেট। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ১১ বল বাকি থাকতে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট।
আরিফুল ১২, তানজিম ১৩ ও সুমন ৭ রান করেন। আরিফুল ও সুমনকে আউট করে ৫ উইকেট পূর্ণ করেন বরিশালের ফাহিম। তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায়- ৩.১ ওভারে ৭ রানে ৫ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ৫ উইকেট নিলেন ফাহিম।
চলতি বিপিএলে দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ৫ উইকেট নিলেন ফাহিম।
১১৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বরিশালের দুই ওপেনার তাওহিদ হৃদয় ও অধিনায়ক তামিম ইকবাল। প্রথম ২ ওভারে ২০ রান তুলেন তারা।
তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে বরিশালের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। হৃদয়কে ৬ রানে বিদায় দেন নাহিদুল। তিন নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ডেভিড মালান। ৯ রান করে পেসার সুমন খানের বলে আউট হন মালান।
দলীয় ৩৯ রানে ২ উইকেট পতনের পর বরিশালের জয়ের ভিত গড়েন তামিম ও মুশফিকুর রহিম। ১৬তম ওভারের শেষ বলে লং-অফ দিয়ে চার মেরে বরিশালের জয় নিশ্চিত করেন তামিম। পাশাপাশি ওই বাউন্ডারিতে টি-টোয়েন্টি ৫৪তম হাফ-সেঞ্চুরিও পূর্ণ করেন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬০ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮১ রান যোগ করেন তামিম ও মুশফিক।
৬টি চারে ৫১ বলে তামিম ৫২ এবং ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩০ বলে অনবদ্য ৪২ রান করেন মুশফিক। নাহিদুল ও সুমন ১টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বরিশালের ফাহিম।