স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরমেন্স বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) আরও বেশি জাঁকজমকপূর্ণ করে তুলেছে বলে মনে করেন রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল। তার মতে, বিপিএলের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন মাহাম্মদ আশরাফুল।
বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক বলেন, “এবারের বিপিএলকে সফল করার পেছনে স্থানীয় খেলোয়াড়রা বড় ভূমিকা পালন করছে। আগের টুর্নামেন্টগুলোতে স্থানীয় খেলোয়াড়দের এমন দুর্দান্ত পারফরমেন্স আমরা কখনও দেখিনি।”
আশরাফুল বলেন, “টুর্নামেন্ট এখন বেশ উঁচু মানের। বিপিএলকে নতুন রূপ দিতে বিসিবি যা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ভালো উইকেট তৈরি করেছে এবং এটি আসলে স্পোর্টিং উইকেট, যেখানে বোলার ও ব্যাটাররা দু’পক্ষই উপভোগ করছে।”
বিপিএলের সিলেট পর্বের বাউন্ডারি সীমানা নিয়ে সমালোচনা হলেও বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম পোস্টার বয় হিসেবে বিবেচিত মোহাম্মদ আশরাফুল বলেন, উইকেট ভালো থাকলে বাউন্ডারি কোন বিষয় নয়। উইকেট ভালো থাকলে বড় বাউন্ডারিতেও ছক্কা মারতে পারে ব্যাটাররা।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের সহকারী কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আশরাফুল
তিনি বলেন, “এমন নয় ছোট বাউন্ডারিই সুবিধা দিয়েছে। ছোট বাউন্ডারি খেলোয়াড়দের বেশি ছক্কা মারতে সহায়তা করেছে, এ মন্তব্যের সাথে আমি ভিন্নমত পোষণ করবো। যদি উইকেট খারাপ থাকে আপনি ছোট বাউন্ডারিতেও ছক্কা মারতে পারবেন না।”
বিশ্ব ক্রিকেটে এখনও সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের রেকর্ডের মালিক আশরাফুল বলেন, “ভালো মানের পাওয়ার হিটার তৈরি না করার জন্য আমরা সব সময়ই সমালোচনা করে থাকি, যারা কি-না চার-ছক্কা বন্যা বইয়ে দিতে পারে। তবে আপনি যখন একটি ভালো উইকেট তৈরি করবেন, তখন অনেক পাওয়ার হিটার পাওয়া যাবে।”
আশরাফুল বলেন, “বিপিএলের আগে শুধুমাত্র স্থানীয় খেলোয়াড়দের জন্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছিল বিসিবি। এর আগে বিপিএল ছাড়া আমাদের আর কোন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট ছিল না। আমরা আগে দেখেছি বড় শটের কারণে বিপিএলে আধিপত্য বিস্তার করেছে বিদেশি খেলোয়াড়রা। দলের প্রয়োজনে বিদেশিদের উপর খুব বেশি নির্ভর করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।”
তিনি বলেন, “আমি মনে করি, এবারের বিপিএলের পর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ আর দুর্বল দল থাকবে না। এ টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়রা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরেছে এটি সুন্দর ভবিষ্যতের আভাস দিচ্ছে। অতীতে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রান রেট বেড়ে গেলে আমরা ভেঙে পড়তাম। এবার আমি দেখেছি, খেলোয়াড়রা দ্বিধাহীনভাবে খেলছে এবং এ বিপিএলে কোন লক্ষ্যই নিরাপদ নয়।”