বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) হ্যাটট্রিক পরাজয়ের পর টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। আসরের ১৭তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৮ রানে হারিয়ে পঞ্চম ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেল সিলেট। বিপরীতে টানা দ্বিতীয় হারের স্বাদ পেল মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা।
রোববার (১২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে রনি তালুকদার এবং জাকির হাসানের জোড়া ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ গড়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ব্যাট হাতে রনি ৫৬ রানে ফিরলেও জাকির হাসান অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান করে খুলনা টাইগার্স। ফলে ৮ রানের জয় তুলে নেয় সিলেট।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। স্কোর বোর্ডে ১৫ রান উঠতেই ২ উইকেট হারায় সিলেট। রাকিম কর্নওয়াল ৪ ও জর্জ মুনসি ২ রানে ফিরেন।
শুরুর চাপে পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২১ রান সংগ্রহ করে সিলেট। পাওয়ার প্লে শেষ হবার পর রানের গতি বাড়ান সিলেটের আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ও উইকেটরক্ষক জাকির হাসান। এতে ১০ ওভার শেষে ৬৫ রান পায় সিলেট। ১৩তম ওভারে দলের রান ১শ’তে নেন রনি ও জাকির।
ছক্কা মেরে ২৯তম বলে টি-টোয়েন্টিতে নবম হাফ-সেঞ্চুরি করেন জাকির। চার মেরে ৩৯ বলে ১৩তম হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান রনি।
১৫তম ওভারে রনিকে শিকার করে খুলনাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার আবু হায়দার। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন রনি। তৃতীয় উইকেটে জাকিরের সাথে ৬২ বলে ১০৬ রানের জুটি গড়েন রনি।
দলীয় ১২১ রানে রনি ফেরার পর অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ১১ বলে ২৯ এবং অধিনায়ক আরিফুল হকের সাথে ২২ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন জাকির। এতে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় সিলেট।
জাকির ৪৬ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কার সহায়তায় অপরাজিত ৭৫ রান করেন। ৩টি ছক্কায় জোন্স ২০ এবং ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ বলে অনবদ্য ২১ রান করেন আরিফুল। আবু হায়দার ও জিয়াউর রহমান ২টি করে উইকেট নেন।
১৮৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে ৪৭ রান তুলে খুলনা। মোহাম্মদ নাইম ১১, ইমরুল কায়েস ২ ও দারউইশ রাসুলি ১৫ রানে আউট হন।
এরপর ছোট-ছোট জুটিতে খুলনাকে লড়াইয়ে রাখেন ওপেনার উইলিয়াম বোসিসতো, অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। বোসিসতো ৪৩, মিরাজ ১৫ ও নাওয়াজ ১৮ বলে ৩৩ রানের উপর ভর করে ১৬ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১৩০ রান তুলে খুলনা।
শেষ ৪ ওভারে ৫৩ রান দরকার ছিল খুলনার। ৩ ওভারে ৩৪ রান তুললে শেষ ওভারে খুলনার সামনে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ১৯ রান। কিন্তু শেষ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০ রানের বেশি তুলতে পারেনি খুলনা।
শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে দলের হার রুখতে পারেননি ১৬ বলে ২৮ রান করা মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তানজিম-রিচ টপলি ও রুয়েল মিয়া ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন জাকির।