বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল চিটাগং কিংস। পাকিস্তানি উসমান খানের সেঞ্চুরিতে ২১৯ রানের সংগ্রহ গড়ার পর দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে চট্টগ্রাম। তিন ম্যাচ খেলা রাজশাহীর এটি দ্বিতীয় হার।
শুক্রবার (৩ জানুয়াুরি) দিনের প্রথম এবং আসরের সপ্তম ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৯ রান করেছে চিটাগং কিংস। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ৬২ বলে ১২৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন। বিপিএল ইতিহাসে ৩৩তম ও চলতি আসরে এটি প্রথম সেঞ্চুরি।
২২০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরাফাত সানি এবং আল ইসলামদের বোলিং তোপে ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহীর ব্যাটিং ইনিংস। ফলে ১০৫ রানের বিশাল ব্যবধানের জয় তুলে নেয় চিটাগং কিংস।
ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় চিটাগং কিংস। রানের খাতা খোলার আগেই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমনকে শিকার করেন আগের ম্যাচে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৯ রানে ৭ উইকেট নেওয়া দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ।
এরপর রাজশাহীর বোলারদের উপর ছড়ি ঘুড়িয়েছেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটার উসমান ও ইংল্যান্ডের গ্রাহাম ক্লার্ক। দু’জনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৭২ রান পায় চট্টগ্রাম। সপ্তম ওভারে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২১ বল খেলা উসমান।
নবম ওভারে ১শতে পৌঁছায় চট্টগ্রামের রান। ১১তম ওভারে উসমান ও ক্লার্কের জুটি ভাঙেন রাজশাহীর স্পিনার সোহাগ গাজী। ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ বলে ৪০ রান করা ক্লার্ককে শিকার করেন সোহাগ। ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন উসমান-ক্লার্ক।
ক্লার্ক ফেরার পর সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে সময় নেননি উসমান। ১৪তম ওভারের শেষ বলে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম ও এবারের বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি করেন দু’বার ক্যাচ দিয়ে জীবন পাওয়া উমসান। বিপিএলের ইতিহাসে ৩৩তম সেঞ্চুরি এটি। ২০২৩ সালের বিপিএলেও খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে সেঞ্চুরি করেছিলেন উসমান।
দলের রান ২শ পার করার পর ১৯তম ওভারে তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার হন উমসান। ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬২ বলে ১২৩ রান করেন পাকিস্তানী এ ব্যাচটার। তার সেঞ্চুরির সাথে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ১৫ বলে ২৮ ও হায়দার আলির ৮ বলে অপরাজিত ১৯ রানের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৯ রানের বড় সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম কিংস। বিপিএল চলতি আসরে এটিই সর্বোচ্চ দলীয় রান।
৪ ওভারে ২২ রানে ২ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর সফল বোলার তাসকিন। এছাড়া সোহাগ-শফিউল ও রায়ান বার্ল ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে চট্টগ্রাম বোলারদের সামনে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি রাজশাহীর ব্যাটাররা। গতকাল ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১৭৫ রানের স্পর্শ করলেও আজ পুরোপুরি ব্যর্থ টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটাররা।
চট্টগ্রামের দুই স্পিনার ও দুই পেসারের তোপে ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী। দলের পক্ষে ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস ১৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। মিডল অর্ডারে আকবর আলি ১৮, ইয়াসির আলি ১৬ ও সোহাগ ১১ রান করেন।
চট্টগ্রামের দুই স্পিনার আরাফাত সানি ও অ্যালিস আল ইসলাম ৩টি করে এবং দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ ওয়াসিম ২টি করে উইকেট নেন।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয় পেল চট্টগ্রাম। অন্যদিকে, তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় হার রাজশাহীর।