অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হতে যাচ্ছে দেশের ক্রীড়া ইভেন্টে সবচেয়ে বড় আয়োজন। বিপিএলের ১১তম এ আসরকে কেন্দ্র করে নানা আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফারুক আহমেদের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড থেকেও বলা হচ্ছে সরকারের সহযোগিতায় ভিন্নভাবে আয়োজন করা হচ্ছে এবারের বিপিএল।
বিপিএলের অন্য আসরগুলো থেকে আলাদা এবং ক্রিকেট প্রেমিদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা ছাড়াও সিলেট ও চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয়েছে বিপিএল মিউজিক ফেস্ট। যেখানে দেশ ও দেশের বাইরের সঙ্গীত শিল্পীরা তাদের সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন।
বিপিএল মিউজিক ফেস্ট ছাড়াও এবারের আসরে তিন ভেন্যুতেই থাকছে ডিজিটাল প্যারামিটার বোর্ড। ক্রিকেটাররা চার-ছক্কা কিংবা উইকেট পেলেই জ্বলে উঠবে বোর্ডগুলো। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জায়গা প্রেজেক্টরের মাধ্যমে খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করার কথাও রয়েছে।
তবে এসব দিয়ে ক্রিকেট উম্মাদনা তৈরি হলেও ক্রিকেট কিংবা বিপিএলের উন্নয়নে ভিন্ন কথা বলছেন জাতীয় দলের সাবেক এবং ফরচুন বলিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তার মতে, ক্রিকেটে উন্নয়নে ক্রিকেটেই ইনভেস্ট দরকার।
তামিম বলেন, “সত্য কথা বলতে আমি অন্যরকম কিছু দেখি না, কনসার্ট বাদে। আমার কাছে মনে হয় অন্যরকম বিপিএল যদি আমাদের করতে হয়, উই নিট টু ইনভেস্ট ক্রিকেট, দ্যাট ইস দ্য মোস্ট ইমপোর্টেন্ট। উই নিট টু ইনভেস্ট ইন টুর্নামেন্ট, নোট কনসার্ট এণ্ড এনিথিংক আস।”
বিপিএলে মাঠে নামার আগে রোববার মিরপুরে অনুশীলন করেন তামিম ইকবাল
তিনি বলেন, “ক্রিকেটে যদি ইনভেস্ট করি আর টুর্নামেন্টে যদি ইনভেস্ট করি তখন আমরা বলতে পারবো যে, নতুন করে বিপিএল। আর কনসার্ট আগেও হয়েছে, এখনো হয়েছে... দারুণ। একটা অনুষ্ঠান হয়েছে, যারা দেখেছেন, আমি ছিলাম না দেশে।”
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএল। ফলে এখনই পুরো বিপিএল নিয়ে মূল্যায়ন করা দ্রুত হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তামিম ইকবাল।
তামিম বলেন, “এখনো এসব বলা খুব আর্লি হয়ে যাচ্ছে। কারণ, আমরা জানি না যে, কালকে কী আছে আমাদের জন্য। সো, এটা ঠিক হবে না যে, আমি একটা কথা বলে দিলাম পড়ে এটা খারাপভাবে গেল, ওটা না।”
বিপিএল নিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমি এতটুকু বলতে পারি ব্যক্তিগতভাবে, আপনি যদি বিপিএলে কোন পরিবর্তন আনতে চান তাহলে ক্রিকেটে ইনভেস্ট করতে হবে, টুর্নামেন্টে ইনভেস্ট করতে হবে। তাহলে একমাত্র পরিবর্তন আসবে বিপিএল।”