টানা পাঁচ হারের পর নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল আইকন প্লেয়ার মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। এরপর চার ম্যাচে দুই হার ও দুই জয়ের পর শেষ ম্যাচটি জয় দিয়ে শেষে করলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসর। নিজেদের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়ে দিয়েছে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বে সিলেট।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ও চলমান বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে সিলেট। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৮ রানের সংগ্রহ গড়ে এনামুল হক বিজয়ের দল খুলনা।
জবাবে ১২ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় সিলেট। এ জয়ে বিপিএলের দশম আসর শেষ করলো তারা। লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে সিলেটের এটি পঞ্চম জয়। তবে এ ম্যাচে হারলেও সমান পাঁচ জয় নিয়ে পয়েন্ট টবিলে এগিয়ে রয়েছে খুলনা।
পাঁচ জয়ে সিলেটের ১০ পয়েন্ট থাকলেও খুলনার রান রেট বেশি। পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্টের সাথে খুলনার রান রেট -০.৪৪৭। যেখানে সমান ১০ ৪ পয়েন্ট অর্জন করা সিলেটের রান রেট -০.৭৪৮। ফলে টেবিলের ছয় নম্বরে থেকেই বিপিএল শেষ করতে হলো সিলেটকে। অন্যদিকে, পাঁচ নম্বরে থেকে বিপিএল শেষ করলো খুলনা।
ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ২টি চারে ১০ রান করে সিলেটের পেসার শফিকুল ইসলামের দারুন ডেলিভারিতে বোল্ড হন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়।
বিজয়ের পর খুলনার মিডল অর্ডার ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও দলকে সামনের দিকে টেনেছেন ওপেনার আফিফ। ৩১ বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন আফিফ।
অর্ধশতকের পর ইনিংস বড় করতে না পারা আফিফ সিলেটের ইংলিশ স্পিনার সামিত প্যাটেলের শিকার হবার আগে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৫ বলে ৫২ রান করেন।
১৩তম ওভারে দলীয় ৮১ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে আফিফ আউট হবার পর বড় সংগ্রহের পথে ধাক্কা খায় খুলনা। শেষ দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েন পারনেলের ১৪ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ ও নাহিদুল ইসলামের ২টি চারে ৮ বলে ১১ রানে ৮ উইকেটে ১২৮ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় খুলনা।
সিলেটের ইংলিশ স্পিনার বেনি হাওয়েল ১৫ রানে ৩টি ও শফিকুল-তানজিম ২টি করে উইকেট নেন।
১২৯ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের মধ্যে ৬ রানে ২ উইকেট হারায় সিলেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইস ৫ ও জাকির হাসান খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন।
তৃতীয় উইকেটে ৬১ বলে ৭০ রান যোগ করে শুরুর চাপ কাটিয়ে সিলেটকে লড়াইয়ে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলি। ১২তম ওভারে থামেন ২টি চারে ৩৭ বলে ৩৯ রান করা শান্ত।
এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে সিলেটের রান ১শ পার করেন ইয়াসির। হাফ-সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৪৬ রানে বিদায় নেন ৪৩ বল খেলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারা ইয়াসির।
দলীয় ১১২ রানে ইয়াসির ফেরার পর ১২ বল বাকী থাকতে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন মিঠুন ও হাওয়েল। ২টি চারে মিঠুন ১৯ এবং ১টি করে চার-ছক্কায় ৫ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন হাওয়েল। বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন হাওয়েল।