অধিনায়ক তামিম ইকবালের ব্যাটিং এবং মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের অলরাউন্ড নৈপূন্যে দুর্দান্ত ঢাকাকে ২৭ রানে হারিয়ে দিয়েছে ফরচুন বরিশাল। ব্যাট হাতে ৪৫ বলে ৭১ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছে তামিম। আ ৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলার পাশাপাশি বল হাতে ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের নবম ম্যাচে এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠছে বরিশাল। ৯ ম্যাচে ৫ জয় ও ৪ হারে বরিশালের পয়েন্ট ১০ পয়েন্ট। ১০ ম্যাচে ১ জয় ও ৯ হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকলো ঢাকা। টানা ৯ ম্যাচ হারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্লে-অফে খেলার আশা শেষ হয়ে গেল ঢাকার।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ বলে ৭৬ রানের সূচনা করেন বরিশালের তামিম ও পাকিস্তানের আহমেদ শেহজাদ। ৪টি চারে ২৪ রান করা শেহজাদকে নবম ওভারে আউট করে ঢাকাকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার আলাউদ্দিন বাবু।
শেহজাদ ফেরার পর সৌম্য সরকারকে নিয়ে ৩১ বলে ৪৮ রানের জুটি গড়েন তামিম। এই জুটিতেই ১১তম ওভারে এবারের মৌসুমে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি করেন ৩৪ বল খেলা তামিম। তবে ১৪তম ওভারে বাবুর দ্বিতীয় শিকার হন ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪৫ বলে ৭১ রান করা তামিম।
দলীয় ১২৪ রানে তামিমের আউটের পর বরিশালের রানের চাকা ঘুড়িয়েছেন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ। তবে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তারা। ১টি করে চার-ছক্কায় মাহমুদউল্লাহ ১০ বলে ১৩ এবং ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ২৮ রানে ফিরেন সৌম্য।
মাহমুদউল্লাহ-সৌম্যর বিদায়ের পর স্লগ ওভারে মুশফিকুর রহিমকে ১ ও মেহেদি হাসান মিরাজ শূণ্য হাতে শিকার করেন ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। এতে বরিশালের রান তোলায় ভাটা পড়ে। তবে পেসার শরিফুল ইসলামের করা শেষ ওভারে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৩ রান নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
৬ বলে সাইফউদ্দিনের ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৮৬ রানের বড় সংগ্রহ পায় বরিশাল। ঢাকার বাবু ৩টি ও তাসকিন ২টি উইকেট নেন।
১৮৭ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বরিশালের দুই পেসার সাইফউদ্দিন ও খালেদ আহমেদের তোপে ৫০ রানে ৫ উইকেট হারায় ঢাকা। এ সময় ২টি করে উইকেট নেন সাইফুদ্দিন ও খালেদ। এমন বিপর্যয়ের মধ্যে বরিশালের বোলারদের সামনে একাই লড়াই করেছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স রস।
ছক্কা মেরে ৩৬ বলে এবারের আসরে তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরির পরও হাল ছাড়েননি রস। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে ৪৯ বলে ৫টি চার ও ৭টি ছক্কায় অপরাজিত ৮৯ রান করেও যোগ্য সঙ্গীর অভাবে দলের হার রুখতে পারেননি রস।
৮ উইকেটে ১৫৯ রান তুলে ম্যাচ হারে ঢাকা। বরিশালের সাইফউদ্দিন ও খালেদ ৩টি করে উইকেট নেন।