নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশামের অলরাউন্ড নৈপূণ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) শীর্ষস্থান ধরে রাখলো সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স। নিজেদের অষ্টম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৫৩ রানে হারিয়ে দিয়েছে তারা। এ জয়ে আট ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে রংপুর।
জয় পাওয়া ম্যাচে ২৬ বলে অপরাজিত ৫১ রান করার পর বল হাতে ২ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিশাম। এ হারে রংপুর সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৫ জয় ও ৩ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রান রেটে পিছিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানেই থাকলো চট্টগ্রাম।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা রংপুরকে ৪১ বলে ৬১ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিক্স। জুটিতে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ২৪ রান অবদান রেখে ফিরেন রনি।
তিন নম্বরে নেমে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় আগ্রাসী মেজাজে ইনিংস শুরু করেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু এবারও ভালো শুরু করে ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে ১৩তম ওভারে চট্টগ্রামের পেসার সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হন সাকিব।
একই ওভারে ৩৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা হেনড্রিক্সকেও বিদায় দেন শাকিল। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪১ বলে ৫৮ রান করেন হেনড্রিক্স। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ বলে ৬০ রানের জুটি গড়েন হেনড্রিক্স ও সাকিব।
১২২ রানের মধ্যে সাকিব-হেনড্রিক্সের ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও নিউজিল্যান্ডের জেমস নিশাম। ৪৬ বলে ৮৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে রংপুরকে ৩ উইকেটে ২১১ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন তারা।
এবারের বিপিএল কোন দল এই প্রথম ২শ রানের কোটা স্পর্শ করলো। শেষ ৫ ওভারে ৭৫ রান যোগ করেন সোহান-নিশাম।
ইনিংসের শেষ ডেলিভারিতে ছক্কা মেরে ২৬ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নিশাম। ইনংসে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৫১ রান করেন এ তারকা ব্যাটার। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২১ বলে অনবদ্য ৩১ রান করেন সোহান। চট্টগ্রামের শাকিল ১৫ রানে ২ উইকেট নেন।
২১২ রানের জবাবে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারে সাকিবের বলে বোল্ড হন ১০ রান করা চট্টগ্রামের অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার জশ ব্রাউন। এরপর নিউজিল্যান্ডেরন টম ব্রুসকে ১৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির ও শাহাদাত হোসেনকে ৯ রানে সাকিব শিকার করেন। এতে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
এরপর চতুর্থ উইকেটে ৩৫ বলে ৫৮ রান যোগ করেন আরেক ওপেনার সৈকত আলি ও আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্ফার। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪ রান করা ক্যাম্ফারকে শিকার করে জুটি ভাঙেন নিশাম।
ক্যাম্ফারের জুটি গড়ার পথে ৪২ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন সৈকত। তবে ১৯তম ওভারে রান আউট হন ৬টি চার ও ১টি চারে ৪৫ বলে ৬৩ রান করা সৈকত।
শেষদিকে অধিনায়ক শুভাগত হোমের ১৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় অনবদ্য ৩১ রানে ৬ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে হারের ব্যবধান কমাতে পারে চট্টগ্রাম। রংপুরের সাকিব ২৪ রানে ও নিশাম ৩২ রানে ২টি করে উইকেট নেন।