বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৩তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে দিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ১৪৯ রানে আটকাতে পারলেও ব্যাট হাতে সফল হতে পারেনি এনামুল হক বিজয়ের দল।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ গড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারের স্বাদ নেয় এনামুল হক বিজয়ের দল খুলনা টাইগার্স। ১৮.৫ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। ব্যাট হাতে কেউ হাল ধরতে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
এ জয়ে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠলো কুমিল্লা। সমান সংখ্যক ম্যাচ ও সমান জয় নিয়ে ৮ পয়েন্ট থাকলেও রানরেটে পিছিয়ে থাকায় চারে নেমে গেছে খুলনা।
ব্যাট করতে নেমে ৫৭ বলে ৬৯ রানের সূচনা পায় কুমিল্লা। খুলনার বোলারদের উপর চড়াও ছিলেন লিটন দাস। ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩০ বলে ৪৫ রান করে স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হন লিটন। লিটনের পর আরেক ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ২১ রানে শিকার করেন নাসুম।
৭০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর কুমিল্লার মিডল অর্ডারে ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস ২২, তাওহিদ হৃদয় ১৬ ও খুশদিল শাহ ৪ রানে আউট হন।
শেষ দিকে ১২ বলে ৩০ রানের জুটি গড়ে কুমিল্লাকে ৭ উইকেটে ১৪৯ রানের সংগ্রহ এনে দেন জাকের আলি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
১টি করে চার-ছক্কায় অঙ্কন ৫ বলে ১০ এবং ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮ বলে অপরাজিত ১৮ রান করেন জাকের। খুলনার নাসুম ও পাকিস্তানী ফাহিম আশরাফ ২টি করে উইকেট নেন।
১৫০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে মারমুখী মেজাজে শুরু করেছিলেন খুলনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। ইনিংসের প্রথম ১১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান তুলেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে স্পিনার আলিস ইসলামের শিকার হন ১২ বলে ১৯ রান করা বিজয়।
অধিনায়ক ফেরার পর নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে তারা।
পরের দিকে জামালের বোলিং তোপে ৭ বল বাকী থাকতে ১১৫ রানে অলআউট হয় খুলনা। ৪ ওভারে ২৩ রানে ৫ উইকেট নেন জামাল।খুলনার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ রান করেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ ওয়াসিম।