বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচেই ব্যাট হাতে রানের দেখা পেলেন ইমরুল কায়েস। অন্যদিকে, বিপিএলে প্রথম ম্যাচেই হ্যাটট্রিক উইকেট শিকার করলেন শরিফুল ইসলাম। বিপিএলে এটি সপ্তম হ্যাটট্রিক।
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ইমরুলের ফিফটিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানের সংগ্রহ গড়েছে বিপিএলের সবচেয়ে সফল দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। দলটি শেষ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়েছে।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) বিপিএলের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ঢাকা অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
কুমিল্লার নতুন অধিনায়ক লিটন কুমার দাসের সাথে উদ্বোধনী জুটি ব্যাট হাতে মাঠে নামেন একই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাবেক সফল অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। দু'জনের ব্যাট থেকে ২৩ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় কুমিল্লা।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শেষ বলে চতুরঙ্গা ডি সিলভার বলে ক্যাচ দিয়ে সাঝঘরে ফিরেন অধিনায় লিটন দাস। ১৬ বলের ইনিংসে ১ করে চার ও ছয়ের মারে ১৩ রান করেন তিনি।
অষ্টম ওভারে পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদিরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ইমরুল। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। ২৩ রানে জীবন পেয়ে ৪২ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল।
হাফ-সেঞ্চুরির পথে ছিলেন হৃদয়ও। ১৯তম ওভারে তৃতীয়বারের মত আক্রমণে এসে হৃদয়কে হাফ-সেঞ্চুরির আগেই থামান ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ বলে ৪৭ রান করেন হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সাথে ৮৭ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়।
একই ওভারের শেষ বলে ইমরুলকেও তুলে নেন তাসকিন। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৬ বলে ৬৬ রান করেন গত আসরে কোন ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরির গন্ডি পার করতে না পারা ইমরুল।
শেষ ওভারে আক্রমণে আসা শরিফুলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন খুশদিল শাহ। এরপর ওভারের শেষ তিন বলে খুশদিল, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে শিকার করে হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন শরিফুল। বিপিএলের ইতিহাসে এটি সপ্তম হ্যাটট্টিক।
শরিফুলের হ্যাটট্টিকের পর ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। ৫ বলে ২টি ছক্কায় ১৩ রান করেন খুশদিল। ৪ ওভার করে বল করে ঢাকার শরিফুল ২৭ রানে ৩ ও তাসকিন ৩০ রানে ২ উইকেট নেন।