রাজনীতি নিয়ে আপাতত কোন পরিকল্পনা নেই তামিম ইকবালের

দুই পুরানো সতীর্থ মাশরাফি বিন মর্তুজা এবং সাকিব আল হাসান রাজনীতিতে যোগ দিলেও এ মুহূর্তে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা নেই তামিম ইকবালের। তবে ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দিতা করার সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেননি বাংলাদেশের এ ওপেনার। তামিম ইকবাল বলেন, এখন পর্যন্ত আমার এমন কোন পরিকল্পনা নেই।

নড়াইল-২ আসন থেকে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাশরাফি। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচক করে সর্বশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সাকিব। ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে দুই খ্যাতিমান সতীর্থর পথ অনুসরণ করবেন কি-না এমন প্রশ্ন ছিল তামিম ইকবালের কাছে।

“এটা বলা ঝুঁকিপূর্ণ। এখন যদি আমি না বলি, তাহলে দেখা যাবে যে আপনি ১০ বছর পর এটি তুলে আনবেন এবং আমাকে দেখাবেন যে আমি না বলেছিলাম। এ জন্য কখনও কিছুকে না বলবেন না। তবে এখন পর্যন্ত আমার এমন কোন পরিকল্পনা নেই।” -রাজনীতে যোদ দেওয়ার প্রশ্নে তামিম।

বিপিএলে দলীয় অনুশীলন শেসে পিকেএসপিতে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেন তামিম। সে সময় সদ্য শেষ হওয়া সাধারণ নির্বাচনে জয়ী মাশরাফি ও সাকিবকে অভিনন্দন জানান তামিম। যদিও মাশরাফির সাথে তামিমের সম্পর্ক সব সময়ই সৌহার্দ্যপূর্ণ। তবে সাকিবের সাথে সম্পর্কটা খুব একটা সুখকর নয়।

“আমি এখনও তাদের (মাশরাফি-সাকিব) কারও সাথে দেখা করিনি। তাদের সাথে সাক্ষাতে কথা বলবো, দেখা যাক।”

শুধু রাজনীতিতে নয়, বোর্ডে কোন দায়িত্ব কিংবা সভাপতি হওয়ার বিষয় নিয়েও এ মুহূর্তে কোন কিছু ভাবছেন না তামিম ইকবাল। বলেন, “এটা নিয়ে আমার কিছু করার নেই। আপনি কখনওই জানেন না, ভবিষ্যৎ কোথায় নিয়ে যায়। যদি আল্লাহ এমন কিছু আমার ভাগ্যে লিখে রাখেন, তাহলে সেটি এমনিতেই আসবে। এ জন্য আমি জোর করতে পারি না।”

২০২৩ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বিরতি নিয়েছিলেন তামিম। বিপিএল দিয়ে আবারও ক্রিকেট ফিরবেন তিনি। বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে নেতৃত্ব দিবেন তামিম। দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেটে ফিরছেন, এ জন্য স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা জড়তা থাকবে বলে অকপটে স্বীকার করেছেন তামিম।

তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন পর ফিরছি, স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা জড়তা থাকবে। আমি গত তিন মাসে খুব বেশি অনুশীলন করিনি। গত দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাটিং করছি। হ্যাঁ, জড়তা থাকবে। তবে বিপিএল শুরু হওয়ার আগে প্রস্তুত হওয়ার জন্য আমার পক্ষে যা যা করা সম্ভব, সবই করার চেষ্টা করছি।”

বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে চান তামিম। তিনি বলেন, “অবশ্যই ব্যক্তিগত লক্ষ্য আছে। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য, এবার দলকে যতটা সম্ভব ম্যাচ জেতাতে সহায়তা করা। এটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এ দলটাকে নিয়ে আমরা যদি সঠিক পথে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে এটাই হয়তো ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি আমার সম্ভাব্য সেরা প্রতিদান হবে।”