বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শুরুর তারিখ নির্দিষ্ট করা হলেও আগামী আসর নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হওয়া নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ, চলতি বছরের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে সেটাতে কোন সমস্যা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পর পরই মাঠে গড়াবে বিপিএল আসর।
শনিবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মল্লিক বলেন, “বিপিএলের সম্ভাব্য সূচি কী হতে পারে তা নিয়ে আমাদের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমাদের প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই যেন আমরা বিপিএলটা শুরু করতে পারি।”
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মাঠে উত্তেজনা থাকলেও সংবিধান অনুযায়ী এ বছরের শেষ দিকে বা নতুন বছরের প্রথম দিকে জাতীয় নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, “পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে শোনা যাচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের তারিখটা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০ তারিখ বা সুবিধাজনক তারিখ দেব (বিপিএল শুরুর তারিখ)। বিপিএলের আগামী মৌসুমের শুরুর তারিখটা এভাবেই আমরা ঠিক করেছি।”
ক্রিকেটে বিশ্বে একই সময় বেশ কয়েকটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট চলায় বিপিএলে বিদেশি তারকা ক্রিকেটার পাওয়া যায় না। এবার সেই বিষয়টি মাথায় রেখে আগেভাগেই প্লেয়ার ড্রাফটের চিন্তা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, “যে করেই হোক ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের খেলাটা শেষ করতে হবে। কারণ, এর পরেই আমাদের শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে। আর প্লেয়ার ড্রাফটটা আমরা ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ বা শেষ সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে দিতে চাচ্ছি। যাতে দলগুলো নিজেদের গুছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়।”
মল্লিক বলেন, “ফিনানসিয়াল টার্মস ও টুর্নামেন্টের রুলস যারা না মানবে তাদেরকে নিয়ে আমরা পরবর্তী আসরে প্রসিড করবো না। সব ফ্রাঞ্চাইজি এখন পর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছে। ভালো সাড়া পাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “রাজশাহীর জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ যদি দল চালাতে না চায় তাহলে রাজশাহীর সুযোগ থাকবে। আবার যদি আমরা বিপিএল ৮ দল নিয়ে করি তাহলেও তাদের সুযোগ হতে পারে।”
গত আসরের পুরোটা সময় ডিআরএস ব্যবহার সম্ভব হয়নি। তবে এবার আর কোন সমস্যা নেই বলে জানান বিসিবির এ পরিচালক।
বলেন, “গতবার ডিআরএস আনতে পারিনি গ্রুপ ম্যাচে। কোয়ালিফায়ার ও ফাইনাল ম্যাচে ছিল। এবার ডিআরএস কিন্তু কোনো প্রোডাকশন কোম্পানি, বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এদের কাছে নেই। বোর্ড সরাসরি ডিআরএস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে। চার বছরের জন্য তাদেরকে পাচ্ছি।”
গতবারে ন্যায় এবারও তিন ভেন্যুর বেশি ভাবছে না বিপিএল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন থাকায় সেটি নিয়ে ভাবছে না। এ বিষয়ে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, “নির্বাচনের কারণে তিনটার বেশি ভেন্যু অ্যাড করতে পারবো না।”