৯৮ থেকে চার মেরে তিন অংকের ঘরে পৌছে গেলেন বাঁ-হাতি ওপেনার সাদমান ইসলাম। ফর্মহীনতায় চাপেই ছিলেন এতোদিন। এই সেঞ্চুরি দিয়ে যেন নিজের উপরে থাকা ভারি বস্তুটা সরিয়ে ফেললেন। এরআগে গত বছর ডিসেম্বরে ভারত-এ দলের বিপক্ষে ৯৩ রানের দারুন এক ইনিংস খেলেন।
এবার করলেন সেঞ্চুরিও। নিজেকে ফিরে পাওয়ার পথে বড় একটি পদক্ষেপ!
ইনজুরি আর টানা ব্যর্থতায় টেস্ট দল থেকেও ছিটকে পড়েন সাদমান। নির্বাচকদের নজর কাড়তে পারফরম্যান্স করতে হবে তাকে। শনিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নিলেন দক্ষিণাঞ্চলের এই ব্যাটার। বগুড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তার সেঞ্চুরিতে মধ্যাঞ্চলের বিপক্ষে প্রথমদিন শেষে সাত উইকেটে ২৮১ রান করতে পারে দক্ষিণাঞ্চল।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ওপেনার পিনাক ঘোষকে হারায় দক্ষিণাঞ্চল। দ্বিতীয় উইকেটে এনামুল হক বিজয়ও সাদমানকে বেশি সঙ্গ দিতে পারেননি। তৃতীয় রান নেওয়ার চেষ্টায় রান আউট হয়ে যান এনামুল (২৩)। বেশ ভালো জুটি গড়ে ওঠে তৃতীয় উইকেটেও। এবার সাদমানের সঙ্গী অমিত হাসান। এই জুটিতে আসে ৮১ রান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে দক্ষিণাঞ্চল পান দিনের সেরা জুটি। সাদমান ও ফজলে মাহমুদ ধীরস্থির ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে। জুটির শতরান আসে ২০৯ বলে।
সাদমান সেঞ্চুরি পা রাখেন ১৮৬ বলে। ফজলে মাহমুদের ফিফটি করতে লাগে ১৩২ বল।
সাদমানের সেঞ্চুরি আর ফজলে মাহমুদের ফিফটিতে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল পায় শক্ত ভিত। তবে শেষ বিকেলে আবু হায়দার ও সৌম্য সরকারের বোলিং ঝলকে লড়াইয়ে ফেরে বিসিবি মধ্যাঞ্চল।
দিন শেষে দক্ষিণাঞ্চলের রান সাত উইকেটে ২৮১। সাড়ে ৫ ঘন্টারও বেশি সময় উইকেটে ছিলেন সাদমান। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এটি তার ১১তম সেঞ্চুরি।
তবে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন প্রায় দেড় বছর পর। শেষ পর্যন্ত ২৪০ বলে ১৭ চার ও এক ছক্কায় ১৩০ রান করে আবু হায়দারের বলে বোল্ড হন সাদমান।
ফজলে মাহমুদ ফিফটি করে আউট হওয়ার পর হঠাৎ নামে ব্যাটিং লাইনআপে। দশ রানের মধ্যে তারা চার উইকেট হারায়। তবে সাদমান আউট হওয়ার পর আর উইকেট হারায়নি দিক্ষণাঞ্চল। নাসুম আহমেদ ও সুমন খান অবিচ্ছিন্ন ৩১ রানের জুটি নিয়ে দিন শেষ করেন।
আবু হায়দার তিনটি ও সৌম্য সরকার দুটি উইকেট নেন। একটি উইকেট পান রকিবুল হাসান। বিসিএলের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ। যারাই জিতবে তারাই ফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম