চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে দুই কোটি, রানার্সআপ দল পেয়েছে এক কোটি। দুই দলকে দেওয়া হয়েছে তিন কোটি টাকার প্রাইজমানি। এরপর সেরারা পেয়েছেন আরও ২৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনাল শেষে তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা প্রাইজমানী দেওয়া হয়েছে।
রানার্সআপ হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। তবে এই দলে ব্যাক্তিগত পুরস্কারের ছড়াছড়ি। টুর্নামেন্টসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। একই সঙ্গে তিনি জিতে নিয়েছেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের পুরস্কার।
এবার আসরে চার ফিফটিতে ৫১৬ রান করেছেন তিনি। বিপিএলে ৫০০ স্কোর ছোঁয়া একমাত্র বাংলাদেশী এখন শান্ত। এবার আসরে তো বটেই এখন পর্যন্ত কোনো আসরেই ৫০০ রান ছুঁতে পারেননি বাংলাদেশের আর কেউই।
টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার জন্য দশ লাখ এবং সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের জন্য শান্ত পেয়েছেন আরও পাঁচ লাখ টাকা। সব মিলে তিনি জিতে নিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।
দল চ্যাম্পিয়ন না হলেও ফাইনালে হাফ সেঞ্চুরি ও দলের সর্বোচ্চ রানটা করেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে দল হারায় ম্যাচসেরা হওয়া হয়নি। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টে ভালো ফিল্ডিংয়ের জন্য সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার হিসাবে তিন লাখ টাকা জিতে নিয়েছেন মুশফিক। উইকেটের পেছনে ১৪টি ডিসমিসাল করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা নিজের করে নিয়েছেন জনসন চার্লস। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে শিরোপা জেতানোর ম্যাচে সাত চার ও পাঁচ ছয়ে ৫২ বলে ৭৯ রান করেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
এবার টুর্নামেন্ট খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। দুইশো রান তাড়া করে ওই ম্যাচ জিতে নেয় কুমিল্লা।
এদিকে সর্বোচ্চ উইকেটের পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দলের বাঁ-হাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ও তৃতীয় হওয়া রংপুর রাইডার্সের হাসান মাহমুদ। ১২ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন কুমিল্লার বাঁহাতি স্পিনার। হাসান ১৪ ম্যাচে পেয়েছেন সমান উইকেট।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম