টানা সাত জয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। অথচ শুরুটা হয়েছিল টানা তিন হারে। শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে তারা ছয় বল বাকি থাকতে ছয় উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। আগেই বিদায় হওয়া চট্টগ্রাম প্রথমে ব্যাট করে সাত উইকেটে ১৫৬ রান করে। জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাফ সেঞ্চুরিতে (৬১) সহজ জয় তুলে নেয় কুমিল্লা।
দশ ম্যাচে সাত জয়ে কুমিল্লা পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে। দুই নম্বরে থাকা ফরচুন বরিশালের পয়েন্টও সমান ১৪। কিন্তু নেটরান রেটে এগিয়ে রয়েছে বরিশাল।
আর দশ ম্যাচে আট হারে চট্টগ্রাম রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতে। তবে প্লে-অফ নিশ্চিত করা চার দলই রয়েছে শীর্ষ দুইয়ে থাকার লড়াইয়ে।
টুর্নামেন্টের শুরুতে একটি জয়ের জন্য মরিয়া ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা তিন হারের পর চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয় পায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এরপরই শুরু হয়েছে অজেয় পথচলা।
প্লে-অফের চার দল নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় এদিন দর্শক আগ্রহেও ভাটা পড়েছিল। তিন ভাগের দুই ভাগই গ্যালারি ছিল ফাঁকা। বড্ড অসময় জ্বলে উঠলেন চট্টগ্রামের মিডল অর্ডার ব্যাটার আফিফ।
এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের সঙ্গে এদিন হাফ সেঞ্চুরি করেছেন উসমান খানও। তবুও জয় পাওয়ার মতো রান সংগ্রহ হল না চট্টগ্রামের। ছয় রানে দুই উইকেট হারানো চট্টগ্রামকে লড়াইয়ে রাখেন উসমান ও আফিফ।
৪১ বলে ৫২ করে আউট হন উসমান। ৪৯ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় ৬৬ রান করেন আফিফ। এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের এবার আসরে দ্বিতীয় ফিফটি। তবে তিনি মাত্র একটি ম্যাচেই দুই অংকের ঘরে যেতে পারেননি।
বাকি সবগুলোতে পৌছান দুই অংকে। শেষদিকে দারউইস রাসূল নয় বলে দুই ছয় ও এক চারে ২১ রান করলে চট্টগ্রামের রান দাঁড়ায় ১৫৬। দুটি করে উইকেট নেন তানভির ইসলাম ও হাসান আলী।
জবাবে দারুন শুরুর ভিত গড়ে দেন পাকিস্তানের ডানহাতি ওপেনার রিজওয়ান। আউট হওয়ার আগে করেন ৪৭ বলে ৬১। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। শেষদিকে ম্যাচ ধরে এগিয়ে জিতিয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। ২৭ বলে তিনি করেন ৩৭* রান। চট্টগ্রামের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মৃতুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়ার রহমান।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম