পরের ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হল না খুলনা টাইগার্সকে। আগেভাগে হেরেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্লে-অফে ওঠার দৌড় থেকে ছিটকে গেল তামিম ইকবালরা। ইফতেখার আহমেদের দারুন হাফ সেঞ্চুরির (৫১*) সঙ্গে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ফরচুন বরিশালের জয় ৩৭ রানে। শুক্রবার ঢাকায় শেষ পর্বের শুরুর প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে পাঁচ উইকেটে ১৯৪ রানের পাহাড় গড়ে বরিশাল। জবাবে অধিনায়কত্বহারানো ইয়াসির আলীর হাফ সেঞ্চুরিতে (৬০*) শুধুব্যবধান কমাতে পারে খুলনা। তাদের ইনিংস থামে ১৫৭ রানে।
দশ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলার দৌড়ে এগিয়ে গেল সাকিবের দল। আগেই তাদের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল। আর দশ ম্যাচে এটি খুলনার অষ্টম হার। দুই জয়ে পয়েন্ট মাত্র ৪।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশালের প্রায় সবাই ভালো ব্যাটং করেছেন। তাদের প্রথম ছয় ব্যাটারই দুই অংকের ঘরে পৌছান। তবে সাকিব আল হাসান ও ইফতেখার আহমেদের আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যায় বরিশাল। সাকিব ২১ বলে চার ছক্কা ও এক চারে ৩৬ করে আউট হন।
তিনটি করে চার ছক্কায় ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতেখার। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে এবার আসরে এটি ইফতেখারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি। শেষদিকে আট বলে ১৬ রান করেন করিম জানাত। বরিশাল পৌছায় ১৯৪ রানে। পল ভ্যান মিকেরেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন।
বড় লক্ষ্যে নেমে আগের ম্যাচে পাঁচ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করা তামিম এক রানে আউট হন। শাই হোপ ছিলেন কিছুটা ছন্দময়। তবে তিনিও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৪ বলে ৩৭ করে আউট হয়ে যান।
খুলনা ৫৪ রানে হারায় চার উইকেট। এরপর শুধু ইয়াসির আলী হারের ব্যবধান কমিয়েছেন। এই ডানহাতি ব্যাটার ৩৮ বলে তিন ছক্কা ও পাঁচ চারে ৬০ রান করেন।
দারুন বোলিংয়ে ২৪ রানে এক উইকেট নেন সাকিব। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। তবে টুর্নামেন্টের প্রথম বোলার হিসাবে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন করিম জানাত। ইনিংসের শেষ বলে হাসান মুরাদকে এলবিডাবøুদিয়ে দেন আম্পায়ার।
তাতে নামের পাশে পাঁচ উইকেট হয়ে যায় করিমের। তবে রিভিউ নেন হাসান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তবদলালে পাঁচ উইকেট পাওয়া হয় না করিমের। ২৯ রানে চার উইকেট নিয়েই সন্তুষ্টু থাকতে হয়। দুটি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম