সিলেটে সব চমক লুকিয়ে ছিল যেন শেষদিনে। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে চমক দিয়ে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে দেয় ঢাকা ডমিনেটর্স। সিলেট পর্বের শেষ ম্যাচটি হল ৪২৩ রানের। প্রথমে ব্যাট করে তামিম ইকবাল (৯৫) ও শাই হোপের (৯১*) ব্যাটিং তোপে ২১০ বিশাল সংগ্রহ করে খুলনা টাইগার্স। এই লক্ষ্যেও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সহজ বানিয়ে ফেলেছে জিতেছে সাত উইকেটে। জনসন চার্লস (১০৭*) ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটিং তান্ডবে দশ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ নিজেদের করে নিয়েছে উড়তে থাকা কুমিল্লা। শুধু এবার নয় বিপিএলের ইতিহাসেই এটা সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড।
এরআগে ২০২০ সালে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ২০৫ রান তাড়া করে জিতেছিল খুলনা। প্রথম তিন ম্যাচে হারের পর টানা ছয় ম্যাচ জিতে কুমিল্লাও প্লে-অফে এক পা দিয়ে রাখলো। আর নয় ম্যাচে সাত হারে খুলনার সম্ভাবনা এখন নিভু নিভু করছে।
টানা হারের মধ্যে থাকা খুলনা এদিন অধিনায়ক পাল্টে ম্যাচে নামে। ইয়াসির আলীর পরিবর্তে নেতৃত্ব দেওয়া হয় শাই হোপকে। আগের দুটি ম্যাচে জয়ের খুব কাছে ছিল খুলনা। অধিনায়ক বদলের ম্যাচে রানের পাহাড়ও গড়ে ফেলে তারা। মাহমুদুল হাসান জয় এক রান করে আউট হলেও দ্বিতীয় উইকেটে তামিম ও শাই হোপ ১৮৪ রানের বিশাল জুটি গড়েন।
সেঞ্চুরির পথে ছিলেন দু'জনেই। কিন্তু শেষ ওভারে মোসাদ্দেক হোসেনের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তামিম। ৬১ বলে ১১ চার ও চার ছক্কায় সাজানো তামিমের ইনিংসটি শেষ হয় ৯৫ রানে। পাঁচ রানের আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর শাই হোপ অপরাজিত থাকেন ৯১ রানে। নাসিম শাহ ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেট পান।
বিশাল লক্ষ্য দেখে যারা খুলনার জয় ধরে নিয়েছিলেন তাদেরকে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জনসন চার্লস নতুন করে দেখালেন ক্রিকেটে শেষ বলে কিছু নেই। অথচ শুরুতে লিটন দাসের চোট ও ইমরুল কায়েস দ্রুত ফেরায় চাপে পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কুমিল্লার।
কিন্তু উল্টো ১২২ রানের জুটিতে নতুন করে নিজেদের চেনালেন রিজওয়ান ও শাই। রিজওয়ান ৩৯ বলে ৭৩ করে আউট হন। তবে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন চার্লস। তার ৫৬ বলের ইনিংসে ১১টি ছক্কা ও পাঁচটি চারের মার। অপরাজিত থাকেন ১০৭ রানে। অসাধারণ ইনিংসে ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি।
স্পোর্টমেইল২৪/জেএম