জাতীয় দলের হয়ে গত বছর দশটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেনে মোহাম্মদ রিজওয়ান। টি ২০ ফরম্যাটে র ্যাংকিংয়ে এখন দুইয়ে থাকলেও বেশ কিছুদিন ছিলেন এক নম্বরে। তবুও রিজওয়ানের খেলার ধরণ নিয়ে কথা বলতে ছাড়েন না সমালোচকরা। মানুষের সমালোচনায় কান দেন না পাকিস্তানের এই ওপেনার। দল কি চায় সেই দাবি মেটাতেই ব্যাটিং করে যান তিনি।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রিজওয়ান খেলছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে। এখানেও দলের চাহিদা অনুয়ায়ী খেলে যেতে চান তিনি।
আক্রমণাত্বক খেলার ধরন নিয়ে রোববার মিরপুর একাডেমি রিজওয়ান বলেন, “এটা খুব কঠিন ভূমিকা। কখনও কখনও এটাকে খুব বিব্রতকর মনে হয়। আমার কাজটা আমি ভালো জানি। দল যা চায় আমিও সেটাই করতে চাই। কুমিল্লা আমার কাছে অ্যাংকরের ভূমিকা চায়। আমিও সেটাই করার চেষ্টা করছি। এই দলের কোচ, মালিকপক্ষ-অধিনায়ক সবাই খুশি। আমিও আমার কাজটা করার চেষ্টা করছি।"
প্রথমে তিনি কিছুটা মন্তর ব্যাটিং করেন। এরপর পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে দল যা চায় তিনি, সেটাই করতে রাজি। অনেক সময় শুরুর মন্থর ব্যাটিংয়ের পর শেষদিকে যখন আক্রমণাত্বক হওয়া প্রয়োজন সেটা করতে পারেন না তিনি। শুধু বিপিএলে নয়, পাকিস্তানের হয়ে খেলার সময়ও তার স্লো ব্যাটিং নিয়ে কথা শুনতে হয়। রিজওয়ান বলেন, তিনি সব সময় ম্যাচের কন্ডিশন পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি বলেন, “শুধু পাকিস্তান দলের চাওয়া পূরণ করি এমনটা নয়। সব জায়গায় দলের চাওয়া পূরন করার চেষ্টা করি। তবে কখনও কখনও এটা বিব্রতকর। কিন্তু টি ২০ ক্রিকেটে সবাই চার-ছক্কা আশা করে। ৪০ বলে ৭০ রান দেখতে চায়। আমার চিন্তা ভিন্ন। আমার কাছে ম্যাচ জয়ী পারফরম্যান্সটাই আসল।"
এই পাকিস্তানী ওপেনার আদর্শ মানেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবিডি ভিলিয়ার্সকে। যদিও ব্যাটিংয়ে এবিডি ভিলিয়ার্স শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক থাকেন। রিজওয়ান সেখানে উল্টো। তবুও তাকে অনুসরণ করেই এগোতে চান।
রিজওয়ান বলেন, “আমি স্কোর বোর্ডের দিকে তাকাই এবং সেভাবেই ব্যাটিং করে যেতে চাই। আমার প্রিয় ও আদর্শ ক্রিকেটার এবিডি ভিলিয়ার্স। তিনি যেভাবে খেলেছেন আমিও সেভাবেই খেলে যেতে চাই।"
বিপিএলে সোমবার কুমিল্লা খেলবে ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে। টানা তিন হারের পর কুমিল্লা টানা ম্যাচ জিতেছে। পয়েন্ট টেবিলে তারা রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম