বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শুরু থেকেই নিষ্প্রভ ছিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ওপেনার লিটন দাস। কুমিল্লাও ছিল টানা হারের মধ্যে। টপ অর্ডারে লিটনের ব্যাট জ্বলে উঠতেই টানা দুই ম্যাচে দুই জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা। দুই ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছেনে লিটন। টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর মাশরাফি মুর্তজার সিলেট সিক্সার্স হেরেছে মূলত লিটনের কাছেই।
তার ব্যাটিং মুগ্ধতা ছড়ায়। মাশরাফি মুর্তজাসহ অনেকেই এরই মধ্যে নিজেদের সেরার তালিকায় তুলে রেখেছেন। তার ব্যাটিং সৌন্দর্যের কথা মনে করিয়ে দেন ধারাভাষ্যকররাও। অথচ নিজের খেলা দেখে পুরোই উল্টোভাব হয় লিটনের। তার নাকি মোটেই ভালো লাগে না। নান্দনিকতার দিক থেকে লিটনের, কোন শট এগিয়ে তা নিয়ে কঠিন তর্কও হতে পারে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিলেটকে হারানোর পরে লিটন বলেন, “আমার নিজের ব্যাটিংয়ের হাইলাইটস দেখি কিন্তু মনে হয়, কী ব্যাটিং করি! এটা একেক জনের দৃষ্টিকোণ একেক রকম থাকে। তবে আরও ভালো করার সুযোগ আছে।”
তবে অনেক শটের মধ্যে কোনটা লিটনের পছন্দের সেটা বলতে গিয়ে এই ডানহাতি ব্যাটার বলেন, “স্ট্রেট ড্রাইভটা আমার পছন্দের শট। কিন্তু আমি সেটা খেলতে পারি না, এটাই সত্যি। আমি যখন স্ট্রেইট ড্রাইভ মারি, আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অনেক সময় নিজেই বিস্মিত হয়ে যাই যে, আমি এই শটটা মারছি!”
তিনি বলেন, “পঞ্চাশের উপরে আমার যে ইনিংসগুলো রয়েছে যেগুলো দলকে জেতাতে সাহায্য করেছে বা ম্যাচের মোড় ঘোরাতে সাহায্য করেছে সেগুলোর কোনো ম্যাচই বেশি বল খেলিনি। এসব ম্যাচগুলোতে আমি কম বল খেলে করেছি। আমি কখনও ওয়ানডে বা টি ২০তে বেশি বল নিয়ে ইনিংস খেলিনি।”
লিটনের নিজের দিনে বাংলাদেশের কাজটাও সহজ হয়ে যায়।তিনিও আক্রমণাত্বক খেলা পছন্দ করেন। লিটন বলেন, “আমার ধরনটাই এমন, আক্রমণাত্মক খেলতে পছন্দ করি। ৪০ বলে ৪০ রান করার চিন্তা মাথায় আসে না। ৪০ বল খেললে ৬০-৭০ রান হয়ে যায়। এতদিন ধরে যেভাবে সফল হয়েছি ওই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। ওই ক্রিকেটটাই খেলতে চাই।”
কুমিল্লা টানা তিন ম্যাচে হারের পর দুই জয় পেয়েছে। তারা কাগজে-কলমে ভালো দল। প্রয়োজন ছিল শুধু একটু রিদমের। সেই রিদম এনে দিয়েছেন লিটনই।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম