টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মানকে যাচ্ছে-তাই বলেছিলেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে একমত হন মাশরাফিও। পরে সাকিব আম্পায়ারদের উপর দুটি ম্যাচে মেজাজ হারিয়েছেন। তবে বাইরে যাই হোক না কেন মাঠের লড়াইটা প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ হচ্ছে বলেই জানালেন এই বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার।
বুধবার ইয়ামাহা মটর্সের এক অনুষ্ঠানে সাকিব বলেন, “কিউরেটরকে কৃতিত্ব দিতেই হয়। এবারের উইকেট অনেক ভালো। মিরপুরে সাধারণত এতো ভালো উইকেট পাওয়া যায় না। এজন্য এতো বেশিরানও হচ্ছে। একই সঙ্গে মাঠের খেলাটাও অনেক বেশি ভালো হচ্ছে। খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ।"
মিরপুরের প্রথম পর্ব শেষে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে সবচেয়ে বেশি রান সিলেট স্ট্রাইকার্সের তরুন ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের। টানা তিন ম্যাচেসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন তিনি। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত, জাকির হাসান, জাকের আলীরা দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন।
তরুনদের নিয়ে সাকিব বলেন, “অনেকেই ভালো খেলছে। শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও জাকিররা খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। অন্য দলের ক্রিকেটাররাও ভালো ব্যাটিং করছে। স্থানীয়রা ভালো করছে মানে আমাদের জন্য সেটা ভালো দিক। অনেক কৃতিত্ব দিতে হয় উইকেটকে।"
এদিকে ব্যাটাররা ভালো করলেও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে কিভাবে বোলাররা ভালো করবেন সেটা জানতে বললেন সাকিব। তরুন বোলারদের এখনও সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি।
ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক বলেন, “উইকেট ভালো হওয়ায় ব্যাটাররাও রান করার সুযোগ পাচ্ছে। আগে এরা ৩০-৪০ রান করতো, এখন ৭০ হচ্ছে। এরপর তারা এটাও শিখে যাবে যে কীভাবে একশ করতে হয়। তবে আমাদের দেশীয় বোলাররা কিন্তু ভালো বল করছে না। ভালো উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হয় সেটাও আমাদের শিখে নিতে হবে।"
মিরপুর পর্ব শেষে এখন চট্টগ্রামের অপেক্ষা। চট্টগ্রামে বরাবরই ভালো রান হয়।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম