চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের প্রথম চার ম্যাচের সবগুলোতেই জয় পাওয়া সিলেট স্ট্রাইকার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির এক পরিচালককে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাজিকররা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতি দমন ইউনিটকে (এসিইউ) দ্রুতই বিষয়টি অবগত করেছে টিম কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি স্বীকার করলেও এটি নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
তিনি বলেন, “মৌখিকভাবে জানালেও এখন লিখিত অভিযোগ করেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স কর্তৃপক্ষ। সত্যি কথা বলতে আমরা প্রতি সপ্তাহে ৮/১০টি এমন অভিযোগ পাই। প্রয়োজন মনে করলে তদন্ত করবে এসিইউর। এখনও এটি গুরুতর কিছু নয়।”
মল্লিক আরও বলেন, “এ ধরনের রিপোর্ট পেলে এসিইউ নজরদারি বাড়ায়। এখানে তেমন কিছু ঘটেনি। এটা ক্লাসিফাইড তথ্য হলে পুরো তদন্ত শেষ না করে এসিইউ আমাদের কিছু জানাবে না।”
প্রথম দুই মৌসুমের পর ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে বিপিএল সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছিল। ফিক্সিং ইস্যুতে তৎকালীন দল ঢাকা গ্লাডিয়েটর্স ও তারকা ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল নিষিদ্ধ হয়েছিল।
এছাড়া চলমান বিপিএলের শুরু থেকেই ডিআরএস না থাকায় ফিক্সিং নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। যদিও বিসিবি জানিয়েছে, ফিক্সিংয়ের বিষয়ে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলেও তদন্ত করা হবে।