বিপিএলের গত আসরের ফাইনালে এক রানের জন্য শিরোপা হাতছাড়া করেছিলেন ফরচুন বরিশাল। নয় বলে নয় রানে অপরাজিত ছিলেন তৌহিদ হৃদয়। সেদিন হতাশায় মাঠ থেকেই বের হতে পারছিলেন না তিনি। তার ব্যাট থেকে এক বাউন্ডারি এলেই নিশ্চিত শিরোপা জিতে যেত বরিশাল।
ঠিক এক বছর পর সেই হৃদয় প্রথম বলেই ছক্কা মেরে ইনিংস শুরু করছেন। দারুন সব শটে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দুই ম্যাচে করলেন হাফ সেঞ্চুরি, হয়েছেন দুটিতেই ম্যাচসেরা।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে হৃদয় জয় করে নিয়েছেন তৌহিদ। জানালেন, তার বদলে যাওয়ার কথা। তিনি বলেন, “গত বছর খারাপ করার পর অনেক কিছুই ভেবেছি। এরপর থেকেই চেষ্টা করছিলাম কিভাবে উন্নতি করা যায়। আগের বিপিএলে ভালো করতে পারিনি। কিন্তু এরপর যখন সুযোগ পেয়েছি তখনই চেষ্টা করেছি। কিছু শটস নিয়ে কাজ করেছি। কিছু ছোট ছোট জিনিস পরিবর্তন করেছি।”
তিনি বলেন, “গত আসরে ফাইনালে হারের পর আমি মানসিকভাবেই খারাপ অবস্থায় ছিলাম। সেবার চেষ্টা ছিল ম্যাচটি জেতাবো কিন্তু পারিনি। এরপর চিন্তা করেছি ব্যাটিংয়ে যেখানেই খেলতে পারি সেখানেই চেষ্টা করবো নিজের দায়িত্বটা পালন করার। "
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি হৃদয়কে। পরের ম্যাচের তার আগের মৌসুমের দল ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৬১.৭৬ স্ট্রাইকরেটে ব্যাটিং করেছেন।
সোমবার ৩৪ বলে করেন ৫৫। ব্যাটিং করেছেন ১৫১.৩৫ স্ট্রাইকরেটে। এদিন ছক্কা চারটি, চার তিনটি। ৩৭ বলে করেন ৫৬ রান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে তার দল জিতেছে ১৪ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেটে।
দারুন ব্যাটিং নিয়ে হৃদয় বলেন, “টি ২০ খেলার অভিজ্ঞতা খুব কমই ছিল। এখন চেষ্টা করছি কিভাবে উন্নতি করা যায়। কিভাবে ঝুকি নিয়ে শট খেলতে হয়। সব সময় সমর্থন পাচ্ছি। উপরে ব্যাটিং করে নিজের দায়িত্বও বুঝতে পারছি। সব সময় দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেস্টা করছি। "
এদিকে সিলেট থেকেও অনেক স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে ক্রিকেটারদের। হৃদয়কে ওয়ানডাউনে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আছেন মাশরাফি মুর্তজার মতো একজন অধিনায়ক। সব মিলিয়েই তরুনরা ভরসা পাচ্ছেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম