বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ডিআরএস না থাকায় আম্পায়ারদের বিভিন্ন সমস্যার মোকাবেলা করতে হবে সেটা অনুমিতই ছিল। শনিবার প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটর্সের টপ অর্ডার ব্যাটার সৌম্য সরকারের আউট এবং পরে আউট না দেয়া নিয়ে বেশ একটা ঝামেলা বেধেছিল। পরের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মেজাজ হারান সাকিব আল হাসান। রেগে অনেকটা তেড়েই যান আম্পায়ারের দিকে।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ােমে বরিশালের ইনিংসের ১৬তম ওভারে ব্যাট করছিলেন সাকিব। সিলেটের রেজাউর রহমান রাজার বল সাকিবের মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, সেটি নো বল। ওয়াইডও দেয়া যেতে পারে।
সাকিবও নো বলের আশায় লেগ আম্পায়ারের দিকে তাকান। কিন্তু লেগ আম্পায়ার নো ডাকেননি। ওভারের প্রথম বাউন্সার ডাকেন তিনি। এতেই চটে যান বাঁ-হাতি এই অলরাউন্ডার।
প্রথমে তিনি উইকেট দাঁড়িয়েই চিৎকার করেন। তার পরে তেড়ে যান লেগ আম্পায়ারের দিকে। পরিস্থিতি সামলাতে ছুটে আসেন অপর আম্পায়ার। সিলেটের ক্রিকেটারদেরও দেখা যায় সাকিবকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করছেন।
কিন্তু বরিশালের এই আইকন খেলোয়াড় আম্পায়ারদের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মোটেই মানতে পারছিলেন না তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সাকিব এরআগে একাধিকবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। ঢাকা লিগে তো তিনি উইকেটে লাথি দিয়ে ভেঙে ফেলেছিলেন।
তার চড়া মেজাজের মতো এদিন সাকিবের ব্যাটিংও ছিল বিশ্বংসী। মাত্র ৩২ বলে সাত চার ও চার ছক্কায় ৬৭ রান করেন। বোলিংয়ে চার ওভারে দেন ৩১ রান। তার দল অবশ্য হেরেছে ১৯৪ রন করেও। সিলেট এই ম্যাচ জিতে নেয় ছয় উইকেটে।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম