সারাদেশেই চলছে শৈত্য প্রবাহ। সেই ধাক্কা লেগেছে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও। মধ্য দুপুরেও মিরপুরে নেমে এলো সন্ধ্যা। বাজে আবহাওয়ার কারনে ম্যাচও শুরু হতে আধা ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হল। শনিবার বিপিএলের নবম আসরেরে প্রথম ম্যাচটিও হল আবহাওয়ার মতো ম্যাড়ম্যাড়ে। লো-স্কোরিং ম্যাচেও হল বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আট উইকেটে মাত্র ১১৩ রান করতে পারে খুলনা টাইগার্স। এই লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমেও ভালো অবস্থানে ছিল না ঢাকা ডমিনেটর্স। তবে অপরাজিত ৩৬ রান করে দলকে জয় এনে দেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। ঢাকা যেতে ছয় উইকেটে।
উইকেট যথারীতি মন্থর, শট খেলা কঠিন। সেই সাথে খুলনার ব্যাটসম্যানরাও যোগ দিলেন আত্মহত্যার মিছিলে। টপ অর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটার ব্যর্থ। কুঁচকির চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে না পারা তামিম ইকবাল বিপিএল দিয়ে খেলায় ফেরা ম্যাচে ১৫ বলে করলেন আট রান।
তৃতীয় উইকেট দুই মটু খেলোয়াড় আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি দলকে কক্ষপথে ফেরানোর চেষ্টা করেন। দু'জনেই ভালো খেলছিলেন। হঠাৎই মনোসংযোগ হারান পাকিস্তানের এই উইকেটকিপার ব্যাটার আজম খান। তার বাবা মঈন খানও ছিলেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটার।
আজম আউট হন ১২ বলে ১৮ করে। অধিনায়ক ইয়াসির করেছেন সর্বোচ্চ ২৪ রান। সাইফউদ্দিন ভালো শুরু করে ফেরেন ১৯ করে। শেষ পর্যন্ত ১১৩ করতে পারে খুলনা।
ঢাকার হয়ে অভিজ্ঞ পেসার আল আমিন হোসেন চার উইকেট নেন ২৮ রানে। তাসকিন উইকেট না পেলেও মাত্র ১৪ রান দেন। দারুন বোলিং করেছেন মুক্তার আলী, চার ওভারে দেন মাত্র ১৫ রান। বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানী নেন দুটি উইকেট।
জবাবে ঢাকাও খুব ভালো অবস্থানে ছিল না। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ২২ করে আউট হওয়ার পর পরের দুই ব্যাটার বড় স্কোর করতে পারেননি। কিন্তু অধিনায়ক নাসির প্রথম মন্থর ব্যাটিং করে সেট হয়েছেন। পরে প্রয়োজনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আক্রমণাত্বক খেলেছেন।
নাসিরকে একবার ফেরানোর সুযোগ এসেছিল খুলনার। কিন্তু সহজ ক্যাচটি নিতে পারেনি খুলনা। জীবন পেয়েই চার বাউন্ডারিতে অপরাজিত ৩৬ রান করে ম্যাচ জিতিয়েছেন নাসির। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন দুটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন পল ভ্যান ও ওয়াহাব রিয়াজ।
স্পোর্টসমেইল২৪/জেএম