কাগজে-কলমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী হলেও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরে ফরচুন বরিশাল অনেকটা নিখুঁত দল। একটি দলের যা প্রয়োজন, তার সবকিছুই তাদের রয়েছে। দলে শুধুমাত্র একজন নয়, সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের মতো আরও দু’জন অলরাউন্ডারও আছে।
অলরাউন্ডার ছাড়াও দলে রয়েছে দ্রুত গতির পেসার। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ধীর উইকেটে কার্যকর হতে পারে এমন মিডিয়াম পেসারও রয়েছে তাদের দলে। ভালো মানের স্পিনার এবং কার্যকরী বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে দলটি বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করার সামর্থ্য রাখে।
ভারসাম্য থাকার পর সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন এ দলটিতে অন্যান্য দলের মতোও দুর্বল জায়গা রয়েছে। মিডল অর্ডারে সমস্যায় পড়তে পারে দলটি। এ সমস্যা মোকাবেলায় মিডল অর্ডারে সাকিব ও মিরাজকেও খেলতে দেখা যেতে পারে।
দলে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও। তবে বাস্তবতা হলো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ফর্মে নেই তিনি। মিডল অর্ডারে সাকিব ও মেহেদী ক্লিক করতে না পারলে সমস্যায় পড়তে পারে দলটি।
এছাড়া এ দায়িত্বটি পালন করতে পারেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। মিডল অর্ডারে দলের কার্যকর অস্ত্র হতে পারেন তিনি। একই দায়িত্বে দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদও। মিডল অর্ডারকে শক্তিশালী করতেই তাদের সাথে সরাসরি চুক্তি করেছে বরিশাল।
এছাড়া স্বীকৃত ওপেনার আফগানিস্তানের হার্ড-হিটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ প্রতিপক্ষের বোলিং লাইন-আপকে ধসিয়ে দিতে পারদর্শী। তবে মিরপুরের ধীরগতির উইকেটে একই ধরনের কার্যকর হতে পারবেন কি-না সেটিও একটি বগ প্রশ্ন।
শ্রীলঙ্কার আক্রমণাত্মক ব্যাটার কুশল পেরেরা, ওয়েস্টি ইন্ডিজের স্পিনিং অলরাউন্ডার রাকিম কর্নওয়ালকে দলে নিয়েছে বরিশাল। দলে সাকিব ও মিরাজ বাঁ-হাতি এবং অফ-স্পিনের বিকল্প হিসেবে কাজ করবেন। অস্ত্রাগারে লেগ-স্পিনার হিসেবে পাকিস্তানের উসমান কাদিরও আছেন বরিশালে।
বরিশাল দলে যারা আছেন এ কন্ডিশনে তারা কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে বরিশাল। সবকিছু মিলে সাকিবের হাতে এবারের বিপিএল ট্রফি উঠলে অবাক হওয়ার মতো কিছুই থাকবে না।
ফরচুন বরিশাল দল
সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), ইফতেখার আহমেদ (পাকিস্তান), মোহাম্মদ ওয়াসিম (পাকিস্তান), ইব্রহিম জাদরান (আফগানিস্তান), করিম জানাত (আফগানিস্তান), উসমান কাদির (পাকিস্তান), রাখিম কর্নওয়াল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রহমানুল্লাহ গুরবাজ (আফগানিস্তান), কুসল পেরেরা (শ্রীলঙ্কা), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয়, কামরুল ইসলাম রাব্বি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি, সৈয়দ খালেদ আহমেদ, সাইফ হাসান, কাজী অনিক, সানজামুল ইসলাম, সালমান হোসেন, হায়দার আলী (পাকিস্তান), হাসারাঙ্গা ডি সিলভা (শ্রীলঙ্কা)।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস