বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তিন আসরের জন্য ৭টি ফ্র্যাঞ্চাইজি চূড়ান্ত করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এবার টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া দেশি-বিদেশি খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকও নির্ধারণ করা হলো। বিপিএলে সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে দেশি ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ৮০ লাখ এবং সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষে থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলের সদস্য সচীব ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও চেয়ারম্যান শেখ সোহেল সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টুর্নামেন্টে ‘এ’ থেকে পর্যায়ক্রমে ‘জি’ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হবে। যেখানে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা সর্বোচ্চ ৮০ লাখ পাবেন এবং পর্যায়ক্রমে ‘জি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়া বিদেশি ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক হিসেবে ৮০ হাজার মার্কিন ডলার পাবেন।
এবার থেকে বিপিএলে থাকছে না কোনো আইকন ক্রিকেটার। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা ক্রিকেটারদের সরাসরি চুক্তিতে একজন ক্রিকেটারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। এছাড়া প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে বাকি ক্রিকেটার কিনতে হবে।
বিপিএলের ২০২৩ আসর মাঠে গড়াবে নতুন বছরের শুরুতেই, ৬ জানুয়ারি। ঢাকার মিরপুরের ভেন্যু ছাড়া আরও দুটি অর্থাৎ, মোট তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের খেলা। ঢাকা ছাড়া বাকি দুটি ভেন্যু হলো চট্টগ্রাম এবং সিলেট।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, “আমরা যেটা চিন্তা করেছি যে, লোকালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ (যেটা ড্রাফট থেকে কেনা যাবে)। বিদেশি খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে হবে ৮০ হাজার ডলার। তবে ডাইরেক্ট সাইনের ক্ষেত্রে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। সেটা খেলোয়াড় এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিরাই ঠিক করবে।”
ক্যাটাগরি অনুযায়ী পারিশ্রমিক উল্লেকরে তিনি বলেন, “আসরে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৮০ লাখ, ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৫০ লাখ, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ লাখ, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ২০ লাখ, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ১৫ লাখ, ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ১০ লাখ এবং ‘জি’ ক্যাটাগরিতে ৫ লাখ ধরা হয়েছে। এবার মোট সাতটা গ্রেড। আর এবার আইকন বলে কিছু থাকবে না, মূলত ডাইরেক্ট সাইন থেকেই ভালো খেলোয়াড়রা দলভুক্ত হয়ে যাবেন।”
বিদেশি ক্রিকেটার সংকটের কারণে বিধি-নিষেধ শিথিল করা হবে বলেও জানান তিনি। বলেন, “বিদেশি ক্রিকেটারদের ডাইরেক্ট সাইনের ক্ষেত্রে লিমিটেশন রাখতে চাই না। কারণ, একমাত্র আইপিএল ছাড়া বাকি সব কিন্তু ওভারলেপ হচ্ছে। এই ওভারলেপের জন্য টুর্নামেন্টে বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়াটাই ডিফিক্যাল্ট।’
তিনি আরও বলেন,“নেক্সট ইয়ার এবং পরের বছরও আমরা কিন্তু এই স্ট্রাগলটা ফেস করবো বেসিক্যালি। এরপর থেকে হয়তো বা আমাদের আর সমস্যা হবে না। যদি একটু এগিয়ে এনে টুর্নামেন্টা করি তাহলে হয়তোবা আমরা বেটার সময়টা পাবো।”
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস