বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অনিয়মিততা দূর করতে টানা তিন আসরের জন্য তারিখ চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সাত দল নিয়ে অনুষ্ঠিতব্য বিপিএলের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কাছ থেকে নতুন করে আবেদনও নিয়েছে বিসিবি। দেশের ক্রিকেট বোর্ডের নজর এবার ব্র্যান্ডিংয়ের দিকে। তারই ধারাবাহিকতায় বিপিএলের জন্য নতুন করে লোগো ডিজাইন করতে যাচ্ছে বিসিবি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) স্যোশাল মিডিয়ায় অফিসিয়াল পেজে বিপিএল’র লোগো ডিজাইনের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল লোগোর ডিজাইন চাওয়া হয়েছে। বিপিএল লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীকে দেওয়া হবে অর্থ পুরস্কার।
বিপিএলের লোগো ডিজাইন নিয়ে বলা হয়, একটি নতুন ভিজ্যুয়াল পরিচয় তুলে ধরার প্রয়াসে নতুন করে বিপিএলের লোগো ডিজাইন করা হচ্ছে। যা সৃজনশীল, উদ্ভাবনী এবং টুর্নামেন্টের লক্ষ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হবে। যেকোনো বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ডিজাইনার/ডিজাইন ফার্ম/সৃজনশীল সংস্থা বিপিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের অফিসিয়াল লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
লোগো ডিজাইন শেষে তা অবশ্যই গুগলড্রাইভে জমা রেখে বিপিএলের মেইলে (bplogodesigncontest@bcb-cricket.com) পাঠাতে হবে। লোগোর সাথে ডিজাইনকারীর নাম, প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগের নম্বর এবং ইমেল ঠিকানাসহ লোগোর বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিতে হবে।
লোগো ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরও যেসব বিষয়ে ফলো করতে হবে তা হলো-
## লোগোটি যেন অবশ্যই ইলেকট্রনিক-প্রিন্টসহ সমস্ত মিডিয়ার সাথে ভালোভাবে মানিয়ে যায়। ছোট এবং বড় পৃষ্ঠে পুনরুৎপাদন করতে হবে এবং রঙ এবং গ্রেস্কেলে ব্যবহার করতে হবে।
## জমা দেওয়া ফাইল অবশ্যই সব ফরম্যাটে হতে হবে, যেমন-৩০০DPI এর ন্যূনতম রেজোলিউশন-সহ jpeg, PNG, ai, eps ইত্যাদি। দেওয়ার সময়সীমা ৪ অক্টোবর ২০২২ বা তার আগে।
থিম
ডিজাইনারদের অবশ্যই একটি নতুন ভিজ্যুয়াল আইডেন্টিটি যোগ করতে হবে, যেন ক্রিকেট খেলার চেতনা এবং সারমর্মের সাথে লোগো তৈরির সাথে মিল থাকে। যা সৃজনশীল, উদ্ভাবনী এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের লক্ষ্য এবং দৃষ্টি প্রতিফলিত করার জন্য উৎসাহপূর্ণ হয়।
আকার
লোগোর কম্পোজিশন এমনভাবে হতে হবে যেখানে স্পন্সরদের লোগো পরে যোগ করার জন্য নির্দিষ্ট স্পট থাকবে। একইসাথে এটি দেখতে ভালো এবং সব আকারে সহজে ব্যবহারযোগ্য হয়।
রঙ
লোগোর প্রাথমিক রঙগুলো বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার মতো লাল বা সবুজ হতে পারে বা ডিজাইনের নান্দনিকতা পূরণের জন্য অন্য কোনো উপযুক্ত রঙও হতে পারে। তবে লোগোতে ব্যবহৃত ক্রিকেট বলের রঙ অবশ্যই সাদা হতে হবে।
একটি পৃথক নোটে বিপিএল লোগোতে যে রঙ, প্যাটার্ন, ফিগার, আইকন বা টেক্সচার ব্যবহার করা হবে, তার একটি তাৎপর্যপূর্ণ অর্থ থাকা আবশ্যক। কারণ, ডিজাইনারকে ব্যবহৃত রঙগুলোর উদ্দেশ্য এবং অর্থবহ ব্যাখ্যা থাকতে হবে।
বিশুদ্ধতা
লোগোতে ব্যবহৃত যেকোনো আইকন, ভেক্টর বা ছবিতে কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী থাকতে হবে। একই সাথে লোগো নজরকাড়া এবং পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বিপিএল-এর গভর্নিং কাউন্সিল তিনটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে সেরা তিনটি লোগো নির্বাচন করবে। তিনটি মানদণ্ড হলো- ১. টুর্নামেন্টের মিশন এবং ভিশনসহ ডিজাইন জমা দেওয়ার উল্লিখিত শর্তাবলীর সাথে সম্পর্কিত। ২. লোগোতে নান্দনিক আবেদন এবং ৩. সৃজনশীলতা।
সেরা তিনটি লোগো ডিজাইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিসিবির অফিসিয়াল পেজে পোস্ট করা হবে। সেখান থেকে জনগণের সর্বোচ্চ ভোটের নির্বাচিত ডিজাইনপি পরবর্তী তিন আসরের জন্য চূড়ান্ত করা হবে। একই সাথে নির্বাচিত লোগোর ডিজাইনারকে অর্থ পুরস্কার দেওয়া হবে।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস