বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ পেল বন্দর নগরীর ফ্র্যাঞ্জাইজি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। আসরের ষষ্ঠ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো দলটি। অন্যদিকে, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথম হারের স্বাদ পেলে খুলনা।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান সংগ্রগ করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দলের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে বেনি হাওয়েল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে উইকেটে হারিয়ে রান করে খুলনা। দলের পক্ষে ব্যাট হাতে ইয়াসির আলি ২৬ বলে ২ চার ও তিন ছক্কায় ৪০ রান করলেও জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
জয়ের জন্য ১৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ওপেনার তানজিদ হাসানকে (৯) সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ।
চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ফিরেন রনি তালুকদার। ওয়ান ডাউনে ব্যাট হাতে নেমে ৬ বলে ৭ রান করে ফিরেন তিনি। তাকে সরাসরি বোল্ড করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মেহিদী হাসান মিরাজ। ফলে দলীয় ২৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় খুলনা।
সপ্তম ওভারের প্রথম বলে আঘাত পেয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন আন্দ্রে ফ্লেচার। রেজাউর রহমান রাজার বলে আঘাম পান তিনি। আহত হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় তার ব্যক্তিহত সংগ্রহ ছিল ১২ বলে ১৬ রান। আর খুলনার সংগ্রহ ছিল দলীয় ৪৫ রান।
এরপর মিডল-অর্ডারে ব্যাট হাতে রানের গতি বাড়িয়েছেন পিঞ্চ হিটার মাহেদি হাসান। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক মুশফিক। ১৫ বলে ১১ রান করে ফিরেন মুশি। ২৪ বলে ৫টি চারে ৩০ রান করেন মাহেদি। ৭৬ রানের মধ্যে মাহেদি ও মুশফিকুরের বিদায়ের পর জুটি বাঁধেন ইয়াসির ও জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা।
২৪ বলে দ্রুত ৪৩ রান যোগ করেন ইয়াসির ও রাজা। রাজাকে ২২ রানে থামিয়ে চট্টগ্রামকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন রেজাউর। আর ১৯তম ওভারে ইয়াসিরকে তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের জয়ের পথ সহজ করেন শরিফুল। ২৬ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪০ রান করেন ইয়াসির। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৫ রানে থামে খুলনার ইনিংস।
চট্টগ্রামের শরিফুল-মিরাজ-রাজা ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বেনি হাওয়েল।
এর আগে ব্যাট হাতে নেমে মারমুখী মেজাজে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেনার লুইস ও ইংল্যান্ডের উইল জ্যাকস। ৯ বল খেলেই ২৯ রান তুলেন তারা। সেখানে ৭ বলে ১৭ রান অবদান ছিল জ্যাকসের। জ্যাকসকে হারালেও পাওয়া-প্লের সুবিধা নিয়ে দ্রুত রান তোলার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছিলেন লুইস।
চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হওয়ার আগে স্কোর বোর্ডে ৫২ রান তুলে দেন তিনি। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৪ বলে ২৫ রান করেন লুইস। মিডল-অর্ডারের তিন ব্যাটার আফিফ-সাব্বির রহমান ও অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ দলের বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন। আফিফ ১৩ বলে ১৫, সাব্বির ৩৩ বলে ৩২ ও মিরাজ ২৩ বলে ৩০ রান করেন। নিজের ইনিংসে ৪টি বাউন্ডারি মারেন মিরাজ।
১৪তম ওভারে উইকেটে আসেন ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল। প্রথম দুই ম্যাচের এবারও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন তিনি। ১৭তম ওভারে শামিম হোসেনকে ১টি করে চার-ছক্কায় ২১ রান তুলেন তিনি। ওই ওভারে শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরার হাতে জীবনও পেয়েছিলেন হাওয়েল। ১৯তম ওভারে নবীন উল হককে তিনটি বাউন্ডার মারেন হাওয়েল।
শেষ ওভারে দু’টি ছক্কায় চট্টগ্রামকে বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন নাঈম ইসলাম। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯০ রান করে চট্টগ্রাম। ২০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৪ রান করেন হাওয়েল। শেষ বলে রান আউটের আগে ৫ বলে ২টি ছক্কায় ১৫ রান করেন নাইম। খুলনার কামরুল ইসলাম ৩৫ রানে ২ উইকেট নেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]