নাঈম হাসানের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে বিপিএল শুরু করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শঙ্কায় পড়েছিল চট্টগ্রাম। সেখান থেকে লড়াই করার স্কোরে পৌঁছে বিপিএলে বন্দর নগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিবিপিএল) অষ্টম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৫ রান সংগ্রহ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এর আগে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ফরচুন বরিশাল।
ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। বল হাতে ফরচুন বরিশালের ইনিংস শুরু করা নাঈম হাসান তৃতীয় বলেই সাফল্য এনে দেন। দলীয় ৬ রানে ওপেনার কেনার লুইসকে ফেরান তিনি। ৩ বল খেলে ১ চারে ব্যক্তিগত ৬ রান করেছিলেন তিনি।
শুরুতেই কেনার লুইস ফিরে যাওয়ায় উইকেটে উইল জ্যাকস-এর সঙ্গী হোন আফিফ হোসেন ধ্রুব। তবে তিনিও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আলজারি জোসেফের প্রথম বলেই ক্যাচবন্দি হয়ে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ৬ বল খেলে ১ ছক্কায় ব্যক্তিগত ৬ রানে ফিরেন আফিফ।
দলীয় ২২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ব্যাট হাতে উইকেটে নামা সাব্বির রহমানও দলকে হতাশ করেন। ৮ বলে দুই চারে ব্যক্তিগত ৮ রান করা সাব্বিরকে এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন পর ক্রিকেটে ফিরে নিজের প্রথম সাফল্য দেখা পান সাকিব। সাকিবের এ উইকেট শিকারে দলীয় ৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় চট্টগ্রাম চেলঞ্জার্স।
এরপর চট্টগ্রাম শিবিরে বড় ধাক্কাটা দেন জেক লিন্টট। একের পর এক ব্যাটার যখন সাজঘরে ফেরার পথে ছিলেন, বিপরীতে ব্যাট হাতে দলের স্কোর বড় করার দৌড়ে ছিলেন ওপেনার উইল জ্যাকস। তবে তাকেও এলবিডব্লিউ ফাঁদে ফেলেন জেক লিন্টট।
উইল জ্যাকস ব্যক্তিগত ১৬ রানে (২০ বল) ফিরে গেলে ৪২ রানে ৪ উইকেট হারায় বরিশাল। এরপর ব্যাট হাতে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও হিতু হতে পারেনি। দলের দুঃসময়ে ব্যাট হাতে ২০ বল খেলে ফিরেন মাত্র ৯ রানে। ফলে ১১ দশমিক ৩ ওভারে ৫৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম চেলঞ্জার্স।
ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে দল তাকিয়ে ছিল শামীম হোসেন পাটোয়ারীর ব্যাটের দিকে। তবে তিনিও হতাশ করেন। ২৩ বল মোকাবেলা করে ফিরেন ১৪ রানে। তার এ ইনিংসে একটি ছক্কার মার ছিল। ১৪তম ওভারের শেষ বলে শামীম চলে যাওয়ায় দলীয় ৬৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ৩২ রানের জুটি গড়েন নাঈম ইসলাম এবং বেনি হাওয়েল। ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে নাঈম ফিরলে তাদের জুটি ভাঙে। ১৮ বলে ১৫ রান করেন নাঈম ফলে দলীয় ৯৫ রানে সপ্তম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম।
১৯তম ওভারেই শতরান পার করে চট্টগ্রাম চেলেঞ্জার্স। এরপর ডোয়াইন ব্রাভোর করা শেষ ওভার থেকে ১৪ রান নেয় চট্টগ্রাম। মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৪ রানে এবং শরিফুল ইমলাম শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। এর আগে ৮ নম্বরে নামা বেনি হাওয়েল ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ৪১ রান করেন তিনি। তার এ ইনিংসে ৩টা করে ছয় ও চারের মার ছিল।
অন্যদিকে, বল হাতে সবচেয়ে সফর ছিলেন আলজারি জোসেফ। ৪ ওভার বল করে ৩২ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৩টি উইকেট। এছাড়া বরিশালের পক্ষে বল হাতে নাঈম হাসান ২টি এবং সাকিব আল হাসান, জেক লিন্টট এবং ডোয়াইন ব্রাভো একটি করে উইকেট শিকার করেন।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]