বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারির কাটিয়ে আবারও মাঠে গড়াচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চািইজি টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। শুরু হয়েছে নানা কর্মযজ্ঞ, ইতিমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে ছয় দল। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের অষ্টম এ আসরের প্লেয়ার ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে সোমবার। ঢাকার একটি হোটেলে দুপুর ১২টা থেকে শুরু এ ড্রাফট। ২১০ জন দেশি ও ৪০৬ জন বিদেশি ক্রিকেটারের মধ্য থেকে পছন্দমত খেলোয়াড় দলে ভেড়াবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এবারও টুর্নামেন্টের নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিবিপিএল) টি-টোয়েন্টি টর্নামেন্ট-২০২২। এবারের টুর্নামেন্টে মোট ছয়টি দল অংশগ্রহণ করছে।
ম্যাচের ন্যায় বিপিএলে প্লেয়ার ড্রাফটও সরাসরি সম্প্রচার করবে দেশে দুটি বেসরকারি টেলিভিশন। গাজী টিভি (জিটিভি) এবং টি-স্পোর্টসে সরাসরি দেখানো ছাড়াও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
ড্রাফটে দেশিদের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে থাকছে ৬ জন ক্রিকেটার। এছাড়া ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ১৫ জন, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৩৩ জন, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ৩৫ জন ও ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ৭৬ জন ক্রিকেটার রয়েছেন।
দেশীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড় পাবে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩৫ লাখ টাকা, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২৫ লাখ টাকা, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ১৮ লাখ টাকা, ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ১২ লাখ টাকা এবং সর্বশেষ ‘এফ’ ক্যাটাগরিতে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির খেলোয়াড় পাবে সর্বোচ্চ ৭৫ হাজার ডলার। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৫০ হাজার ডলার, ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার ডলার, ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে ৩০ হাজার ডলার এবং সর্বশেষ ‘ই’ ক্যাটাগরিতে ২০ হাজার ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্লেয়ার ড্রাফট থেকে দল সাজিয়ে মাঠের প্রস্তুতি শুরু করবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। আর ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিপিএলের অষ্টম আসরের মাঠের যুদ্ধ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে বিপিএল। আসরের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ কোটি টাকা। আর রানার্স-আপ দল পাবে ৫০ লাখ টাকা।
ছয় দলের এবারের বিপিএলে ডাবল রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্লে-অফ ও ফাইনালসহ মোট ৩৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। দেশের তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের ম্যাচ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছাড়া বাকি দুই ভেন্যু হলো- চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম।
ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি ছয় দলের মালিকানায় থাকছে যারা- বরিশালের মালিকানায় আছে ফরচুন শুজ লিমিটেড, চট্টগ্রামের মালিকানায় রয়েছে ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড (আখতার গ্রুপ), কুমিল্লার মালিকানায় আছে কুমিল্লা লিজেন্ডস লিমিটেড, ঢাকার মালিকানায় আছে রুমা ফ্র্যাব্রিক্স লিমিটেড ও মার্ন স্টিল লিমিটেড, খুলনার মালিকানায় আছে মাইন্ড ট্রি গ্রুপ ও সিলেটের মালিকানায় থাকছে প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড।
স্পোর্টসমেইল২৪/আরএস
[আমরা এখন sportsmail.com.bd ঠিকানাতেও। খেলাধুলার সর্বশেষ সংবাদ পড়তে ইনস্টল করুন আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপস ]