রংপুর রাইডার্সের ছুড়ে দেয়া ১৩৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত খেলে জয় তুলে নিয়েছে রাজশাহী কিংস। বল হাতে যেমন চেপে ধরে রেখেছিল রংপুর রাইডার্সকে, ব্যাট হাতের তেমনি উড়িয়ে দিয়ে আগের ম্যাচে হারের প্রতিশোধটা ভালোই নিলো রাজশাহী।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৩৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় মাশরাফির রংপুর। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রান সংগ্রহ করে রংপুর।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত খেলে রাজশাহী। ১৬ ওভার ৪ বল খেলে ১৩৮ রান তুলে নেয়। ফলে রংপুরে দুই ম্যাচ খেলে একটিতে জয় না পাওয়া রাজশাহী ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয়। একই সঙ্গে সিলেটের মাটিতে রংপুরের বিরুদ্ধে হারের প্রতিশোধটাও ভালোভাবে নিলো রাজশাহী।
এদিকে ম্যাচে দুর্দান্তভাবে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছিল ৩টি ছক্কার মার। মুমিনুলের সঙ্গে হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন ওপেনিং ব্যাটসম্যান লেন্ডল সিমন্সও।
১৩৫ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রাজশাহীর দুই ওপেনার সিমন্স-মুমিনুলই গড়ে ফেলেন ১২২ রানের বিশাল জুটি। সিমন্স রানআউট হয়ে ফিরে গেলে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নামেন ম্যারকম ওয়েলার। পরের বলেই অবশ্য ওয়েলারের উইকেটটি তুলে নিয়ে রাজশাহীকে কিছুটা ধাক্কা দেন লঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা।
পরপর দুই উইকেট হারালেও জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছাতে কষ্ট হয়নি রাজশাহীর। চার নম্বরে উইকেটে আসা রনি তালুকদারকে সঙ্গে নিয়ে ২০ বল হাতে রেখেই দলকে ৮ উইকেটের জয় উপহার দেন মুমিনুল হক।
তবে অল্পের জন্য রেকর্ড হাতছাড়া হয় মুমিনুল-সিমন্স জুটির। আর তিনটি রান করতে পারলেই বিপিএলের চলতি আসরের সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির মাইলফলক স্পর্শ করতে পারতেন তারা। যে রেকর্ডটি রয়েছে সিলেটের দুই ওপেনার উপুল থারাঙ্গা এবং আন্দ্রে ফ্লেচারের (১২৫) দখলে।
এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে রাজশাহীর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে পাঁচ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হয় মাশরাফির রংপুর রাইডার্স।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
রংপুর রাইডার্স : ১৩৪/৫, ২০ ওভার (বোপারা ৫৪*, নাফীস ২৩, ফরহাদ ২/২৮)।
রাজশাহী কিংস : ১৩৮/২, ১৬.৪ ওভার (মোমিনুল ৬৩*, সিমন্স ৫৩, পেরেরা ১/১২)।
ফল : রাজশাহী কিংস ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মোমিনুল হক (রাজশাহী কিংস)।