২৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্প। আসন্ন শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ের সাথে ত্রিদেশীয় সিরিজ এরপর শ্রীলঙ্কার সাথে টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য টাইগারদের এই ক্যাম্পের দলে জায়গা পেয়েছেন ৩২ জন ক্রিকেটার। তবে শুরুর দিকে থাকতে পারছেন না দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। চুলের চিকিৎসা করিয়ে বিপাকে এই বামহাতি ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৫ম আসর শেষ করে টি-টেন টুর্নামেন্টে অংশ নিতে দুবাই গিয়েছিলেন তামিম। সেখান থেকে ফিরে চুলের চিকিৎসা করাতে ভারতের মুম্বাইয়ে গিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং জাতীয় দলের ফিজিওর অনুমতি নিয়েই ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করতে গিয়েছিলেন তামিম। কিন্তু তিন দিনের এই চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বিপাকে পড়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
প্রাথমিকভাবে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ এর দশদিনের মধ্যে অনুশীলনে ফেরার কথা ছিল তামিমের। কিন্তু সহজেই যেন তা হচ্ছে না। এই বছরে তো হচ্ছেই না, আগামী ২ জানুয়ারির আগে ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই তামিমের।
এই প্রসঙ্গে তামিম বলেছেন, ‘ওখানকার (মুম্বাইয়ের) ডাক্তার বলেছিলেন দিন দশেকের মধ্যেই আমি প্র্যাকটিস করতে পারব। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরো কয়েকটা দিন বেশি লাগবে। অথচ ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হতে হাতে বেশি সময় নেই। এতটা সময় লাগবে জানলে কোনোভাবেই এখন এটা করাতাম না।’
‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করানোর ফলে শরীরে পানি নামে। যার ফলে অনেক ওজন বেড়ে যায়। মুম্বাইয়ে ‘হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট’ করানোর পর তামিমের শরীরে ইতোমধ্যে প্রায় চার কেজি ওজন বেড়ে গেছে। তবে গত ১ দিনে পানি সরতে শুরু করেছে। যার ফলে একটু হলেও আতঙ্ক কমেছে এই বামহাতি ব্যাটসম্যানের। এই প্রসঙ্গে তামিম জানিয়েছেন, ‘দেবাশীষ দা (বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী) বলেছেন ১ তারিখের (জানুয়ারি) মধ্যেই এ সমস্যা কেটে যাবে। আরো দু-তিন দিন দেরি হলেও অসুবিধা নেই, প্র্যাকটিসে নিজেকে তৈরি করে নিতে পারব। আর খেলার মধ্যেই তো ছিলাম।