ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আয়োজিত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের (বালক অনুর্ধ্ব-১৭) ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফাইনাল খেলায় ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে ফতুল্লা থানা আওয়া মীলীগের সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদলের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ইসদাইরস্থ ওসামানী পৌর স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের এ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
ফাইনাল খেলা শুরু হওয়ার আগে দুই দলের খেলোয়ার ছাড়াও ব্যাপক দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠের গ্যালারি কানায় কানায় ভরে যায়। এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ অতিথিদের মনে একটু আনন্দ দিতে আয়োজকরা মাঠে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা করেন।
থিং সং থেকে শুরু করে নৃত্যসহ গান পরিবেশন করা হয়। পরে প্রধান অতিথি খেলার উদ্বোধন করেন। আর ৫০ মিনিটের খেলায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের দলকে ২-০ গোলে পরাজিত করে কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের দল।
ফাইনাল খেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি নাহিদা বারিকের সভাপতিত্বে ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আরিফ মিহিরের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা মনির, কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফউল্লাহ বাদল, বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস প্রমুখ।
ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি খেলাধুলা মানুষকে সুন্দর রাখে। আমার নিজের জীবনও খেলাধুলা দিয়ে শুরু হয়েছে। আমার রাজনৈতিক জীবনও খেলাধুলা দিয়ে শুরু হয়েছে। প্রথমে কেউ আমাকে চিনতো না। কলেজে যখন পড়তাম সবাই আমাকে চিনলো যখন আমি টেবিল টেনিসে চ্যাম্পিয়ন হলাম।’
তিনি বলেন, ‘সবাই জিজ্ঞেস করতো এ লম্বুটা কে? তখন সবাই জানলো যে আমি কার ছেলে। তার আগে ফাস্ট ইয়ার পার হয়ে গেছে কেউ জানতো না আমি একেএম সামসুজ্জোহা সাহেবের ছেলে। অনেকে জানতো না কারণ আমার বাবার নিষেধ ছিল বলার।’
শামীম ওসমান আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য যাতে একেবারে গ্রামগঞ্জ থেকে, মহল্লা থেকে আমাদের নতুন প্রজন্ম যারা সুযোগ পায় না তাদের মেধাগুলোকে খুঁজে বের করে জাতীয় পর্যায়ে তুলে নিয়ে আসা এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাথা উচু করে দাঁড়ানো। যেভাবে এখন আমরা ক্রিকেটে দাঁড়িয়েছি এবং অন্যান্য কয়েকটি ইভেন্টে আমরা দাঁড়িয়েছি। আশা করি আগামীতে আমরা ফুটবলেও দাঁড়াব এবং অন্যান্য খেলাধুলাতেও দাঁড়াব।’
ফাইনাল খেলা শেষ হওয়ার পর মাঠে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চ তৈরি করেন এবং চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি শামীম ওসমান। পরে শামীম ওসমান চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে ধন্যবাদ জানান।
মো. শাহাদাত হোসেন, নারায়ণগঞ্জ