আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে রূপ নিতে যাচ্ছে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম। মাঠের স্ট্রাকচারসহ পাল্টে যাচ্ছে পুরো গ্যালারির চেহারা। দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের গ্যালারির পর এবার মাঠে মাটি তুলে উচু করাসহ উত্তর-পশ্চিম পাশের গ্যালারির কাজ শুরু করা হচ্ছে। মোট ১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হচ্ছে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে।
গত ১০ জুলাই (বুধবার) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের একটি দল সরেজমিনে দেখে উন্নয়ন কাজের জন্য এ প্রকল্প পাস করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির।
স্পোর্টসমেইল২৪-কে তিনি বলেন, আমরা ২০১৭ সালে মাঠে মাটি তোলা এবং উত্তর ও পূর্ব পাশের গ্যালারির জন্য একটি প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে। এরপর অনেক চেষ্টার পর যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে পরিদর্শনে আসেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক সুকুমার রায়, ডেপুটি চিফ অ্যাসিস্টেন্ট সুব্রত শিকদার ও তাইজুল ইসলাম। তারা মাঠ এবং গ্যালারির মাপ নিয়ে ১৮ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের চূড়ান্ত করেন।
এ বরাদ্দ পাওয়ার পর এখন খুব দ্রুতই টেন্ডার আহ্বান করে কাজ শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক সুকুমার রায় বলেন, আমরা সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি, এখন টেন্ডার আহ্বান করা হবে। টেন্ডারের পরেই আমরা কাজে হাত দিতে পারব।
২০০৫ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ কোটি টাকা ব্যয়ে তার সহধর্মিণীর নামে ‘আমেনা খাতুন’ গ্যালারি নির্মাণ করে দেন। এরপর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর দক্ষিণ পাশের গ্যালারি এবং পশ্চিম পার্শে সুউচ্চ গ্যালারি নির্মাণ করেন। এছাড়া সে সময় মাঠের চারপাশে ফেন্সি বেড়াও দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে স্পোর্টসমেইল২৪-কে সাবেক জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও বিকেএসপির প্রধান কোচ কাওসার আলী বলেন, বৃষ্টি হলেই যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম পানি জমে যায়। মাঠে মাটি তোলাটা ছিল আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি।
তিনি বলেন, কবির ভাই যশোরের ক্রীড়াঙ্গণের প্রাণ। তিনি আমাদের তথা যশোরের ক্রীড়াঙ্গণের জন্য কাজ করে চলেছেন। আমরা চাই তার হাত ধরেই যশোরে আবার যশোরের ক্রীড়াঙ্গণে ফিরে আসুক সোনালী অতীত।
মো. জামাল হোসেন, যশোর