শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রীস্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৪
শেরপুরে অনুষ্ঠিত হলো গ্রীস্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

‘সুস্থ দেহ, সুন্দ মন, গড়ে তোলে ক্রীড়াঙ্গন’-এমন প্রতিপাদ্যে শেরপুর জেলায় ৫১তম গ্রীস্মকালীণ জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) শহরের গোবিন্দ কুমার (জি.কে) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রাজীব উল-আহসান, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

শেরপুর জেলা জাতীয় স্কুল-মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতি’র আয়োজনে ৩টি ডিসিপ্লিনের (কাবাড়ি, সাঁতার ও দাবা) ছাত্র ও ছাত্রীদের পৃথক দু’টি করে গ্রæপে বড় (৯ম-১০ম) ও মধ্যম (৬ষ্ঠ-৮ম) মোট ১৫টি ইভেন্টের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। গোবিন্দ কুমার (জি.কে) পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে সাঁতার ও দাবা এবং শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভেন্যুতে কাবাডি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলা শেষে বিজয়ী ও বিজিতদে মাঝে পুরস্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। এ সময় জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ধীরেন্দ্র চন্দ্র সরকার, উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও উত্তরা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোহসীন আলী আকন্দ, জি.কে. পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান জানান, প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ের বিজয়ীরা জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। জেলার বিজয়ীরা পরবর্তীতে উপ-অঞ্চল পর্যায়ে ময়মনসিংহে অংশগ্রহণ করবে।

জেলায় দাবা ছেলেদের বড় গ্রুপে সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমির স্বপ্নীল বণিক এবং মধ্যম গ্রুপে শ্রীবরদীর আকবরিয়া পাইলট ইনস্টিটিউটের আরিয়ান জোহান অর্পন এবং মেয়েদের বড় ও মধ্যম গ্রুপে সরকারি বালিকা উচ্ছ বিদ্যালয়ের যথাক্রমে শারমীন আক্তার এবং আতিবা রহমান চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

কাবাডি’তে ছেলেদের গ্রুপে ছনকান্দা উচ্চ বিদ্যালয় দল এবং মেয়েদের গ্রুপে নকলার চিথলিয়ার গণপদ্দি উচ্ছ বিদ্যালয় দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।

হাকিম ববুল, শেরপুর/আরএস


বিষয়ঃ

শেয়ার করুন :